বাংলাদেশ সফরে শুরুটা একেবারেই ভাল হল না ভারতের (Team India)। ১ উইকেটে বাংলাদেশের কাছে হেরে গিয়েছে ভারতীয় দল। প্রথম ম্যাচ হেরে সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ভারত। মেহেদি হাসান মিরাজের (Mehidy Hasan Miraz) একটি সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন কেএল রাহুল (KL Rahul)। এর পরই মেহেদি হাসান অপরাজিত ৩৮ রান করে ম্যাচ জিতে নেন।
রাহুল এই ক্যাচটা নিতে পারলে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যেত। টিম ইন্ডিয়া সহজেই ম্যাচ জিততে পারত। এই দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতীয় দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুটোই ফ্লপ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় ভারতীয় দল। দলের হয়ে শুধু কেএল রাহুল ফিফটি করেন।
মিরপুরে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। ৩১ বলে ২৭ রান করে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তাঁকে বোল্ড করে সাকিব (Shakib al Hasan)। ১৭ বলে ৭ রান করে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন ধাওয়ান। ব্যর্থ বিরাটও। ১৫ বলে ৯ রান করে ফেরেন তিনি। ২৪ রান করে এবাদত হোসেনের বলে আউট হন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে দারুণ ব্যাট করেন রাহুল। তাঁর ৭০ বলে ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল পাঁচটা চার ও চারটে বড় ছক্কা। ওপেনার হিসেবে টি২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও একদিনের সিরিজে মিডল অর্ডারে খেলতে নেমে ফের নিজের জাত চেনালেন রাহুল। চোটের জন্য একদিনের সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন ঋষভ পন্ত।
৪৩ বল খেলে মাত্র ১৯ রান করে আউট হন ওয়াশিংটন সুন্দর। ব্যর্থ হয়েছেন বাংলার শাহবাজ আহমেদও। ০ রান করেই ফিরতে হয় তাঁকে। ৩ বলে ২ রান করে আউট শার্দূল ঠাকুর। রান করতে পারেননি দীপক চাহারও।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভাল ব্যাট করেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৬৩ বলে ৪১ রান করে আউট হন তিনি। ২৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন এনামুল হক। ৩৮ বলে ২৯ রানের সাকিব আল হাসান। দারুণ ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ অলরাউন্ডারকে আউট করেন বিরাট কোহলি। এরপরেই রিয়াদ ও মুশফিকের উইকেট তুলে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন শার্দূল ঠাকুর ও সিরাজ। প্রথম ম্যাচে খেলতে নামা কুলদীপ সেন আফিফ হোসেনের উইকেট তুলে নেন। ১২ বলে ৬ রান করে আউট হন আফিফ।