আম্পায়েরের সঙ্গে তর্ক জুড়লেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে নতুন করে চাপে পড়ে যায় ভারতীয় দল। শেষদিনে জিততে হলে নিউজিল্যান্ডকে করতে হবে মাত্র ১০৭ রান। দিনের শুরুটা যদিও ভারত দারুণভাবে করেছিল। তবে লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় লিড বাড়াতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। বল করতে আসার পর বুমারার বলে বেশ চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তবে চার বল পরেই দিনের খেলা শেষ বলে ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এ নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোহিতরা।
আম্পায়াররা অবশ্য, ফ্লাডলাইট চালু থাকা সত্ত্বেও ঘন মেঘ এবং দৃশ্যমানতার ঘাটতির কারণে খেলা বন্ধ করেন। লাইট মিটার বের করে সিদ্ধান্তে জানান তাঁরা। আবেদন করলেও অটল ছিলেন তাঁরা। ভারতীয় খেলোয়াড়দের মুখে হতাশা স্পষ্ট ছিল কারণ তারা তাদের গতি বাধা পায়। কিছুক্ষণ পরে, বৃষ্টির মেঘ আসে। ভারত, যারা আগে তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে অলআউট হয়েছিল, দ্বিতীয় ইনিংসে সরফরাজ খানের দুর্দান্ত ১৫০ রান এবং ঋষভ পান্তের ৯৯ রানের সৌজন্যে ১০০ রানে লিড নিয়ে নেয়। তবে, চায়ের পরে, ভারতের শেষ চারটি উইকেট দ্রুত পড়ে যায় ধারাবাহিকভাবে। ৯৯.৩ ওভারে তাদের ইনিংস শেষ হয়। রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জাসপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজ সবাই উইকেট হারান।
চতুর্থ দিন দ্রুত শেষ হওয়ার পর রবিবারও আকাশের অবস্থা খুব ভাল থাকবে না বলেই আশঙ্কা। আবহাওয়ার পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিউজিল্যান্ড পেসাররা ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে যে কাজটা করেছিলেন প্রথম ইনিংসে সেটাই ফের করতে হবে বুমরা, মহম্মদ সিরাজদের।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার জন্য এখান থেকে সব ম্যাচই জিততে চাইবে ভারতীয় দল। আর সেটা যদি ঘরের মাঠে হয় তা হলে তো কথাই নেই। সে কারণেই বেঙ্গালুরু টেস্টে জেতার জন্য বাড়তি তাগিদ দেখা যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়ার মধ্যে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সময় তাড়াহুড়ো না করলে হয়ত টেস্ট ড্র নিশ্চিত করতে পারত ভারত। তবে ভারতকে জিততেই হবে তাই মরিয়া গৌতম গম্ভীররা।