আরও এক নক্ষত্রপতন, প্রয়াত তুলসীদাস বলরাম। ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ভারতের প্রাক্তন এই ফুটবলার। বৃহস্পতিবার দুপুরে মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ট্যাগ করেন তিনি। অনেকদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন তিনি। অনেকদিন ধরেই শয্যাশায়ী ছিলেন তুলসীদাস। পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামীর পর প্রয়াত হলেন তাঁদের আরেক বন্ধু তুলসীদাসও।
১৯৫৬ সালের অলিম্পিক্সে অংশ নেওয়া ভারতীয় দলের একমাত্র জীবিত সদস্য ছিলেন তুলসীদাস বলরাম। ভারতের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার বলা হত তাঁকে। পিকে, চুনী মারা যাওয়ার পর থেকেই কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন তুলসীদাস। দুই কাছের বন্ধুকে হারানোর শোক তাঁকে বেশ কষ্ট দিয়েছিল। এবার প্রয়াত হলেন তিনিও।
শেষ জীবনে উত্তরপাড়ার বাড়িতে থাকতেন বলরাম। নিয়মিত খোঁজ রাখারও কেউ ছিল না। বাড়ির বাইরে খুব বেশি বেরোতে পারতেন না। গত বছর ২৮ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নিয়মিত প্রাক্তন ফুটবলারের খোঁজ খবর নিতেন তিনি। সরকার তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল। তবুও শেষরক্ষা হল না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১৩ সালে 'বঙ্গবিভূষণ' সম্মান প্রদান করে। এছাড়া তিনি অর্জুনসহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শোকবার্তায় তিনি লেখেন, 'কিংবদন্তী-প্রতিম ফুটবলার তুলসীদাস বলরামের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাঁর প্রয়াণে ইতিহাসের একটি অধ্যায় শেষ হয়ে গেল। ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগের অন্যতম সেরা ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম অলিম্পিকসহ বহু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অধিনায়কও হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১৩ সালে 'বঙ্গবিভূষণ' সম্মান প্রদান করে। এছাড়া তিনি অর্জুনসহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি তুলসীদাস বলরামের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'