আইপিএল ফাইনালে সবচেয়ে কম স্কোর করল প্যাট কামিন্সের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রবিবার চেন্নাইয়ের চিপকে মাত্র ১১৩ রান অল আউট হয়ে গেল হায়দরাবাদ। দারুণ বোলিং নাইট রাইডার্সের। শুরু থেকেই হায়দরাবাদের ভুল শট নির্বাচন আর মিশেল স্টার্ক ও হর্ষিত রানার দাপটে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে হায়দরাবাদ।
শুরুটা অজি ফাস্ট বোলার করলেও, ভারতীয় হর্ষিত আর শেষদিকে আন্দ্রে রাসেল শেষ করে দেন হায়দরাবাদকে। মাঝে দারুণ বল করেন বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারাইনও। দারুণ বল করে কোনও পার্টনারশিপ গড়তে দেননি। ২ ওভার তিন বলে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট রাসেলের। ৩ ওভারে স্টার্ক নেন ২ উইকেট। তবে তাঁর যে বলে অভিষেক শর্মা আউট হলেন, তাকে এই আইপিএল-এর সেরা উইকেট বলা যায় অনায়াসেই। বলটা মিডলে পড়ে, শেষদিকে আউটস্যুইং করে। উড়ে যায় অভিষেকের অফ স্ট্যাম্প। ২ রানে প্রথম উইকেট হারায় হায়দরাবাদ।
কট বিহাইন্ড হন ট্রাভিস হেডও। ০ রানেই বৈভব আরোরার বলে আউট হন হেড। ৬ রানে ২ উইকেট চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। শেখান থেকে আর ফিরতে পারেনি হায়দরাবাদ। পাওয়ার প্লেতে ফের সফল কেকেআর বোলাররা। বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বল উপরে উঠে যায়। রমনদীপ ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি। ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে হায়দরাবাদ। ১৩ করে আউট নীতিশ কুমার। আউট স্যুইং বুঝতেই পারেননি নীতিশ। বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে যায় গুরবাজের হাতে। রাসেলের বলে শট খেলতে গিয়ে স্টার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মার্করাম। ৭১ রানে ৬ উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তীও। ২৩ রানের মধ্যেই শেষ দুই উইকেট হারাল হায়দরাবাদ। তৃতীয় ট্রফি জিততে ১১৪ রান করতে হবে কলকাতাকে।
এর আগে সবচেয়ে কম রান রান ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। ২০১৩ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ঘটে এই ঘটনা। ২০১৭ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স রাইজিং পুনে সুপার জায়েন্টের বিরুদ্ধে করলেও সেই ম্যাচ জিতে যায়। তবে তা ফাইনাল ছিল না অবশ্যই।