মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ঘরে ফেরা একেবারেই ভাল হল না হার্দিক পান্ডিয়ার। পরপর দুই ম্যাচ হেরে গিয়েছে মুম্বই। ফ্যানরাও রোহিত শর্মাকে সরিয়ে তাঁকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তে হতাশ। শুধু তাই নয়, হার্দিক বল হাতে নিলেও উড়ে আসছে নানা কটাক্ষ। আর এবার তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ মহম্মদ শামিও। হার্দিকের অধিনায়কত্বে খেলেই ২০২২ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাত। ২০২৩ সালে তারা রানার্স হয়। সেই দলের নির্ভরযোগ্য বোলার ছিলেন শামি।
এই মরসুমে চোটের জন্য খেলতে পারছেন না শামি। লন্ডনে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। এখন দেশে ফিরে রিহ্যাব করছেন তিনি। শামি বলেন, ‘ক্যাপ্টেন হিসেবে কিন্তু কিছু দায়িত্ব নিতে হয়। গুজরাতে খেলার সময় হার্দিক কিন্তু তিন কিংবা চার নম্বরে ব্যাট করতে আসত। মুম্বইয়ের হয়ে তিন কিংবা চার নম্বরে ব্যাট করতে ওর সমস্যা কোথায়? সাত নম্বর ব্যাট করতে এল। হার্দিক যেন টেলএন্ডার! আমি তো বলব, এত নিচে ব্যাট করতে নেমে হার্দিক নিজের উপর অকারণে চাপ তৈরি করে ফেলেছে। হার্দিক যদি আগে ব্যাট করতে আসত, ম্যাচটা অনেক আগেই শেষ হয়ে যেত।’
হার্দিক এবারের আইপিএল-এ বেশ চাপে রয়েছেন। এর আগে রোহিতকে ডিপে ফিল্ডিং করতে পাঠাতে গিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। ফলে রোহিতের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসাটা যে সহজ হবে না তা বোঝা যাচ্ছে। তবে মাথায় রাখতে হবে, এই মুম্বইয়ের জার্সিতেই উত্থান হয়েছিল হার্দিকের। অল রাউণ্ডার হিসেবে দারুণ পারফর্ম করেছেন তিনি। এই মরসুমে রোহিতের জায়গায় ক্যাপ্টেন হয়ে তিনি কোনও ম্যাজিক করতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
এর আগেও শামি হার্দিককে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। হার্দিকের দল ছাড়া নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এতে দলে কতটা প্রভাব পড়বে তা নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রশ্নের জবাবে শামি বলেন, 'কেউ দল ছেড়ে গেলে আমাদের কিছু যায় আসে না, কেউ তাতে পাত্তা দেয় না। হার্দিক যেতে চেয়েছিল এবং ও চলে গিয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে ও ভালো করেছে এবং গুজরাত দু'বার ফাইনালে নিয়ে গিয়েছে। একবার ট্রফিও জিতেছে। ও তো গুজরাতের সঙ্গে আজীবনের জন্য চুক্তি করেনি।'