দুরন্ত ছন্দে বাংলার স্পিনার। তাঁর এক ওভারেই ফাইনালে যাওয়ার লড়াই থেকে ছিটকে গেল রাজস্থান রয়্যালস। প্রথমে ব্যাট করে ১৭৫ রান করলেও জেতার মতো রান হয়েছিল তা বলা মুশকিল ছিল। তবে খেলা একাই ঘুরিয়ে দিলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। বিশেষ করে ১২তম ওভারে তিনি ১ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। এখানেই রাজস্থান রয়্যালস চাপে পড়ে যায়। টসে হেরে ব্যাট করতে নামে রাজস্থান, প্রথম ইনিংসে আবেশ খানের দাপট দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার হায়দরাবাদের দুই স্পিনার শাহবাজ আহমেদ এবং অভিষেক শর্মার আগুনে মেজাজে ধরা দিলেন। দুই স্পিনার মিলেই রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দেন।
এদিন অষ্টম ওভারে প্রথম বল করতে আসেন শাহবাজ আহমেদ। তাঁকে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান যশস্বী জয়সওয়াল। কিন্তু ওভারের পঞ্চম বলেই যশস্বীকে সাজঘরের রাস্তা দেখান শাহবাজ। যশস্বীর উইকেট এদিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি ভাল ছন্দে। এদিনও ৪১ রান করেছেন। ছিলেন মারকুটে মেজাজে। শেষ পর্যন্ত শাহবাজের বলে আব্দুল সামাদকে ক্যাচ দেন যশস্বী। এই ওভারে শাহবাজ ১০ রান দিলেও, যশস্বীকে আউট করে অক্সিজেন দেন হায়দরাবাদকে। এর পর ইনিংসের দশম ওভারে বল করতে এসে তিন রান দেন। কিন্তু কোনও উইকেট পাননি।
তবে ১২তম ওভারে পুরো ম্যাচের রং-ই বদলে দেন বাংলার স্পিনার। প্রথম বলেই ফেরান বিধ্বংসী রিয়ান পারগকে। এদিন রিয়ান বড় শট খেলতে গিয়ে অভিষেক শর্মাকে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ১০ বলে ৬ করে এদিন হায়দরাবাদকে নিরাশ করে সাজঘরে ফেরেন রিয়ান। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে কোনও রান হয়নি। চতুর্থ বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে আউট করেন শাহবাজ। ৩ বল খেলে ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন অশ্বিন। পঞ্চম বলেও কোনও রান হয়নি। ষষ্ঠ বলে হয় ১ রান। দুরন্ত বোলিং করে হায়দরাবাদকে হাতে ম্যাচের রাশ এনে দেন শাহবাজ। ৩৬ রানে ম্যাচ জেতে হায়দরাবাদ। ম্যাচের সেরা শাহবাজই।