দুই ম্যাচ হেরে প্লে অফে যাওয়া এখনও নিশ্চিত করতে পারল না সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস। অন্যদিকে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকল দিল্লি। ১১ ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান পাকা করল কলকাতা। রাজস্থানের কাছে সুযোগ ছিল, দিল্লিকে হারিয়ে কলকাতাকে টপকে যাওয়ার। তবে ঘরের মাঠে জ্বলে ওঠে ঋষভ পন্তের দল। আর তার জেরেই হারতে হল সঞ্জু স্যামসনদের। শুধু তাই নয়, জমে উঠল প্লে অফের লড়াইও।
১০ দলের মধ্যে চার দল ব্যাঙ্গালোর, মুম্বই, পঞ্জাব ও গুজরাতের বিদায় মোটামুটি নিশ্চিত। এই চার দলেরই পয়েন্ট আট। রান রেট কম থাকায় সবার নীচে গুজরাত। এদের মধ্যে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই আবার খেলে ফেলেছে ১২টি ম্যাচ। প্রথম চারের লড়াইয়ে রয়েছে বাকি ছয় দল যাদের মধ্যে চার দলের পয়েন্ট একই। চারটি দলই ১২ পয়েন্টে রয়েছে। শীর্ষে কলকাতা ১১ ম্যাচে শ্রেয়াস আইয়ারদের পয়েন্ট ১৬। একই পয়েন্টে থাকলেও, রাজস্থানের রানরেট কলকাতার থেকে কম। ১২ পয়েন্ট নিয়ে লড়াইয়ে চেন্নাই, হায়দরাবাদ, দিল্লি, লখনউও। ফলে এই পরিস্থিতি থেকে যে দল হারবে তারাই পিছিয়ে পড়বে প্লে অফের লড়াই থেকে।
কীভাবে কেকেআর প্লে অফে যেতে পারে?
সমস্ত দলই ১৪টি করে ম্যাচ খেলবে। সেক্ষেত্রে কেকেআর-এর হাতে রয়েছে আরও তিনটি ম্যাচ। ঘরের মাঠে একটা ম্যাচ রয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারদের। সেই ম্যাচ জিতেই প্লে অফের রাস্তা পরিস্কার করতে চায় তারা। অন্যদিকে রাজস্থানের ম্যাচ রয়েছে কলকাতার বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে যারা জিতবে তাদের সামনেই সুযোগ থাকবে শীর্ষে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করার। চেন্নাই দলেরও সুযোগ থাকছে প্লে অফে যাওয়ার। তাদেরও তিনটি ম্যাচ। যার মধ্যে রয়েছে গুজরাত, রাজস্থান ও ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ম্যাচ। এর মধ্যে দুই ম্যাচ জিততে পারলে শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাবে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।