চলতি আইএসএল টুর্নামেন্টের প্রথম লেগের সেমিফাইনাল ম্যাচে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে এটিকে মোহনবাগান ১-১ গোলে ড্র করেছে। ফলে সকলেরই চোখ আজকের দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনালের উপর টিকে রয়েছে। আজকের ম্যাচে যে দল জিতবে সেই দলই নাম লেখাবে ফাইনালে, খেলবে মুম্বই সিটি এফসি'র বিরুদ্ধে। ফলে এই ম্যাচের গুরুত্ব যে কতটা, সেটা আপনারা সহজেই অনুধাবন করতে পারছেন।
গত ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি এডু গার্সিয়া এবং সন্দেশ ঝিংগানের মতো বাগানের গুরুত্বপূর্ণ তারকা ফুটবলাররা। তার পরেও বাগান কোচ আন্তোনিও হাবাস গোটা ম্যাচে একবারই মাত্র খেলোয়ার পরিবর্তন করেন। দল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সময় তিনি মার্সেলিনহোর পরিবর্তে প্রণয় হালদারকে মাঠে নিয়ে আসেন। দলের রক্ষণের মধ্যমণি হয়ে ছিলেন কার্ল ম্যাক হিউ। সঙ্গে ছিলেন প্রীতম কোটাল।
"আমাদের ওপর কোনও চাপ নেই। দলের প্রত্য়েক ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফ এটাকে একটা বড় সুযোগ হিসেবে দেখতে চাইছে। এমন একটা সুযোগ যেটা হয়ত আর কখনও ফিরে আসবে না। সেকারণে আমাদের সেমিফাইনালটা উপভোগ করেই খেলতে হবে। মনে করতে হবে এটাই আমাদের কাছে ফাইনাল ম্যাচ। আমরা একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মেনেই আজকের ম্যাচে মাঠে নামব।"
গার্সিয়া এবং ঝিংগানের চোট নিয়ে বাগান কোচ বললেন, "দেখতে হবে ওদের চোট কেমন রয়েছে। সন্দেশ দলের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। তিরিকে খেলানো হবে কি না, সেটা আজ অনুশীলনের পরেই ঠিক করা হবে।"
আরও পড়ুন :
আগামীকালও যদি ড্র করে মোহনবাগান, তাহলে কী হবে জানেন তো?
গত ম্যাচে নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে ইনজুরি টাইমে এসে এটিকে মোহনবাগানকে গোল হজম করতে হয়। খালিদ জামিলের পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামানো ইদ্রিসা সাইলাই তুরুপের তাস হয়ে যান। নিশ্চিত পরাজয়ের মুখ থেকে হাইল্যান্ডার্স ব্রিগেডকে টেনে তোলেন এবং দলের ড্র নিশ্চিত করেন। তবে হাবাস জানালেন, দ্বিতীয় লেগে তাঁর দল এই চ্যালেঞ্জ নিতে একেবারে প্রস্তুত।
তিনি বললেন, "প্রত্যেকটা ম্যাচের পরিস্থিতি একেবারে আলাদা হয়। ফুটবলাররাও মানুষ তো, মেশিন তো নয়। একবার বোঝাপড়ার অভাব হতেই পারে কিংবা রক্ষণভাগে একটা খারাপ মুভমেন্ট হতেই পারে। আমার মতে, প্রত্যেকটা দলের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়। তবে বিপক্ষকে আমরা যতটা কম সুযোগ দেব, ততই আমাদের পক্ষে সেটা মঙ্গলজনক হবে।"