ত্রিমুকুট অধরাই থেকে গেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের। ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হেরে গেল আন্তনিও লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। লিগ শিল্ড হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে নিলেন রাহুল ভেকেরা। ম্যাচে আগাগোড়া আধিপত্য রাখলেও প্রথমে গোল খেয়ে যেতে হয় তাদের। তবে দারুণ ভাবে ফিরে আসে মুম্বই।
প্রথমার্ধ জুড়ে দাপট দেখালেও গোল খেয়ে যায় মুম্বই সিটি এফসি। ৪৪ মিনিটে পূর্বা লাচেনপার ভুলজেসন কামিন্সের করা গোলের আগে অবধি দুইবার বার পোস্ট ও একবার রেফারির বদান্যতায় গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। দুই বারই শট ছিল ছাংতের। শুভাশিস বসুকে বারবার বোকা বানালেও কাজের কাজটা করতে পারেননি তিনি। প্রথমে ছাংতের ফ্রিকিক লাগে ক্রসবারে। এরপর শুভাশিসকে আড়াল করে তাঁর নেওয়া শট দ্বিতীয় পোস্টে লেগে ফেরে।
তবে বিতর্ক বাড়ে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে মোহনবাগান ডিফেন্ডার হেক্টর উইস্তর হাতে বল লাগায়। পেরেরা দিয়াজের শট হাতে লাগান মোহনবাগান ডিফেন্ডার। দেখতেই পারেননি রেফারি। ক্রমাগত আক্রমণ করে গেলেও গোল করতে না পারার খেসারত দিতে হয় ৪৪ মিনিটে। গোল করেজেসন কামিন্স। পেনাল্টি বক্সের বেশ কিছুটা দূর পেত্রাতোসের থেকে নেওয়া জোরাল শট ঠিক ভাবে বাঁচাতারেননি পূর্বা লাচেনপা। তাঁর ফিস্ট সরাসরি চলে যায় ঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা জেসন কামিন্সের কাছে। গোল করতে ভুল করেননি বিশ্বকাপার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলকে লড়াইয়ে ফেরান নাগুয়েরা ও পেরেরা দিয়াজ জুটি। নাগুয়েরার লং বল ধরে ফিনিশ করে দিয়ে আসেন পেরেরা। কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি মোহনবাগান ডিফেন্ডাররা। বিপদ বাড়ে ৮১ মিনিটে বিপিন গোল করে মুম্বইকে এগিয়ে দেওয়ায়। তাঁকে মাঠে নামানোর পরেই গোল পেয়ে যায় মুম্বই। সুতরাং তাঁকে সুপার সাব বলাই যায়। এরপর চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি মোহনবাগান। উল্টে ম্যাচের ইনজুরি টাইমে আরও এক গোল খেয়ে যায় মোহনবাগান। জাকুবের গোলে ট্রফি নিশ্চিত করে মুম্বই।