কলকাতায় এসেই মোহনবাগান জনতার আবেগ টের পেয়েছেন। তাই ডার্বি নিয়ে দারুণ উত্তেজিত কামিন্স। যদিও শুধু ডার্বি নয়, প্রতি ম্যাচেই যত বেশি সম্ভব গোল করতে চান তিনি। মঙ্গলবার মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের জার্সি উদ্বোধনে এসে কামিন্স বলেন, ‘ প্রত্যেক ম্যাচে প্রচুর গোল করার চেষ্টা করব। সেটা ডার্বি হোক বা অন্য ম্যাচ। তবে আমি ডার্বি নিয়ে উত্তেজিত। শহরে আসার আগেই, ডার্বির ব্যাপারে আমি জানি।‘
মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগকে কুর্নিশ জানান বিশ্বকাপার স্ট্রাইকার। কামিন্স বলেন, ‘আমি রাত তিনটের সময়, কলকাতায় এসেও সমর্থকদের এত ভালোবাসা পেয়েছি, তা বলার মতো নয়। শুধু আসার সময় নয়, আমার সই করার খবর পাওয়ার পর থেকেই যেভাবে সমর্থকরা আমার পাশে থেকেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায়, কথা বলার চেষ্টা করে গিয়েছেন। যা দেখে আমি অবাক হয়েছি।‘ আমি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, বড় ম্যাচে নেমে গোল করতে ভালোবাসি।‘ সবুজ-মেরুন সমর্থকদের বার্তা দিয়ে কামিন্স বলেন, ‘ফুটবল নিয়ে এত প্যাশন দেখে আমি অভিভুত। এই কারণেই আমার কলকাতায় আসা।‘
২০২২ বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিল অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্ব থেকে সেরা ষোলতে জায়গা করে নিয়েছিলেন জেসন কামিন্সরা। তবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে হেরে বিদায় নেন তাঁরা। কলকাতায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের জার্সি উদ্বোধনে এসে সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন কামিন্স।
জেসন কামিন্স সই করছেন মোহনবাগানে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মেসির সঙ্গে কামিন্সের তোলা ছবি ভাইরাল হতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। মঙ্গলবার সাংবাদিকরা তাঁকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে কামিন্স বলেন, ‘এটা স্পেশাল মুহুর্ত। ও স্পেশাল ফুটবলার। ওকে দেখে নিজের খেলার আরও উন্নতি করার চেষ্টা করেছি। কথা বলে শেখার চেষ্টা করে গিয়েছি। শুধু মেসি নয়, এমবাপের সঙ্গে দেখা করাও একটা বড় ব্যাপার আমার জন্য।‘কলকাতায় আসার আগে থেকেই তাঁকে ঘিরে মোহনবাগান সমর্থকদের উন্মাদনা টের পেয়ে গিয়েছিলেন কামিন্স। জানালেন সে কথাও। মাত্র দুই দিন আগে শহরে এসে, কলকাতাকে আপন করে নিয়েছেন বাগানের বিশ্বকাপার।
শুধু মেসি নয়, এমবাপের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়েও জানিয়েছেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার বলেন, ‘ফ্রান্সের সঙ্গে খেলাও দারুণ একটা মুহূর্ত ছিল। আমরা ভালো খেলেছি। গ্ৰুপ থেকে পরের রাউন্ডে উঠেছিলাম। আর্জেন্টিনার কাছে আমরা হেরে বিদায় নিয়েছিলাম। তবে ওরাই বিশ্বকাপ জিতেছে।‘