নিজে অসাধারণ ফুটবল খেলতেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল (Football) আর দাবা (Chess) খেলায় তাঁর ঝোঁক ছিল বরাবর। মোহনবাগানের (Mohun Bagan) অন্ধ সমর্থক কাজী নজরুল ইসলামের (Kazi Nazrul Islam) জন্মদিন আজ। নজরুল ইসলামকে আমরা সকলেই কবি বলে চিনি। আরও ভালোভাবে বলতে গেলে বিদ্রোহী কবি হিসেবে চিনি। তবে ক্রীড়া ক্ষেত্রেও তাঁর ভালোবাসার কথা জানা যায় সমসাময়িকদের কথায়।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তাঁর কলম কথা বলেছে বারবার। তবে ফুটবল মাঠেও ইংরেজ বিদ্বেষের প্রভাব পড়েছিল। কলকাতা মাঠেও ইংরেজ রেফারিকে মারধোরও করেছিলেন নজরুল ইসলাম। এমনটাই শোনা যায়। মোহনবাগান বনাম এরিয়ান ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মোহনবাগানের গোল শোধ করে দেয় এরিয়ান। চরম উত্তেজনার মুহূর্তে ব্রিটিশ রেফারি নাকি এরিয়ানের পক্ষ নিয়ে রেফারিং করছিলেন। বারে বারে বাঁশি বাজিয়ে খেলার গতি রুদ্ধ করছিলেন তিনি। সেই সময়ই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন বিদ্রোহী কবি। যদিও পুলিশ এসে শান্ত করে তাঁদের।
আরও পড়ুন: পেলে-মারাদোনার নামে গেট উদ্বোধন করবেন মার্টিনেজ, অনুষ্ঠান সূচীতে আর কী?
এরকমই আরও একটা ঘটনার কথা শোনা যায়, ডার্বি ম্যাচে (Kolkata Derby) মুখোমুখি হচ্ছে, মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল (Mohun Bagan vs East Bengal)। সেই ম্যাচের টিকিট কিছুতেই পাচ্ছেন না নজরুল ইসলাম। তিনি তখন থাকতেন শ্যামবাজারের কুম্বুলিটোলায়। সেই সময় মোহনবাগানে ছিলেন প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার গোষ্ঠ পাল (Gostha Pal)। তিনি থাকতেন কুমোরটুলিতে। টিকিট না পেয়ে হতাশ কবি গোষ্ঠ পালের দারস্থ হন। তাঁকে একটা চিরকুট পাঠান নজরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের নজরে আরও এক তারকা ডিফেন্ডার, কাকে নিচ্ছে লাল-হলুদ?
সেই চিরকুটে লেখা ছিল, ‘বহু চেষ্টা করেও টিকিট পাইনি। যদি একটা টকিট দেন, তা হলে আমার কিছু কবিতার স্বত্ব আপনাকে দিতে পারি।‘ এতটাই মোহনবাগানকে ভালবাসতেন নজরুল। নিজের কবিতার স্বত্ব দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন গোষ্ঠ পালের কাছে। তাও আবার একটা বড় ম্যাচের টিকিটের জন্য।
যদিও টিকিট পাননি বিদ্রোহী কবি। গোষ্ঠ পাল সরাসরি জানিয়ে দেন, ‘উনি এমনি বললেই টিকিট দিতাম। তবে যে শর্ত আপনি দিয়েছেন তা মানতে পারলাম না। আমার ভালোলাগেনি।‘