দারুণ ছন্দে রয়েছে ভারতীয় দল। এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের একদিনের সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন কেএল রাহুল।
তবে বিশ্বকাপের ঠিক আগে ভারতীয় দলের জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর এসেছে। চোটের পর কেএল রাহুল এবং শ্রেয়াস আইয়ার ছন্দে ফিরেছেন এবং দ্রুত সেঞ্চুরি করেছেন। ফলে টিম ইন্ডিয়ার মিডল অর্ডারের সমস্যাও দূর হয়েছে। আসলে, শ্রেয়াস এবং রাহুলের চোটের পরে, দলের মিডল অর্ডারের জন্য, বিশেষ করে ৪ এবং ৫ নম্বরে কে খেলবেন তা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। সূর্যকুমার যাদব এবং ইশান কিশানকে দিয়ে চেষ্টা করানো হলেও, সাফল্য আসেনি। ইশান যদিও কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু এখন রাহুল এবং শ্রেয়াসের প্রত্যাবর্তন এই সমস্যারও সমাধান করেছে।
মিডল অর্ডারের সমস্যা মিটে গিয়েছে
শ্রেয়াস ৪ নম্বরে এবং রাহুল ৫ নম্বরে ব্যাট করতে পারেন। ইশান কিশাণ উইকেটরক্ষক এবং সূর্যকুমার যাদব মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসাবে দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে ৫০ রান করেছিলেন সূর্য। যেখানে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৭ বলে ৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনিও এখন ওয়ানডেতে ফর্মে আছেন।
এভাবেই ফিরলেন কেএল রাহুল
কেএল রাহুল চোট সারিয়ে দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছেন। এই বছর লন্ডনে উরুর অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। তবে ভালো ব্যাপার হলো বিশ্বকাপের আগে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ফর্মেও রয়েছেন। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১১১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন রাহুল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতেও টানা অর্ধশতরান করেছেন তিনি।
সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়াসও
অন্যদিকে, শ্রেয়াস আইয়ার পিঠের নিচের দিকে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। তিনি রাহুলের সঙ্গেই রিহ্যাবও করেছিলেন। এশিয়া কাপে দুটি ম্যাচ খেলেও ছাপ রাখতে পারেননি। এর পর এখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ১০৫ রানের সেঞ্চুরি ইনিংস খেলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শ্রেয়াস আইয়ারের ৩ নম্বরেও দ্রুত ব্যাট করার ক্ষমতা রয়েছে। শ্রেয়াস ওয়ানডেতে ১১টি ম্যাচ খেলেছেন ৩ নম্বরে ব্যাট করার সময়, তাঁর গড় ছিল ৫৮.36। ৬৪২ রান করেছিলেন। ওই সময়ে তিনি একটি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ফলে বলাই যায়, মিডল অর্ডারের সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে ভারতীয় দল।