স্বপ্নপূরণের নায়ক নন্দাকুমার। টানা আট ডার্বি হারের পর, জয়ের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল। আর সেই জয়ের নায়ক নন্দাকুমার। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডার্বির নায়কের কাছে পুরোটাই অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে।
লাল-হলুদকে ম্যাচ জিতিয়ে নন্দাকুমার বলেন, ‘আমি দারুণ উত্তেজিত ছিলাম প্রথম ডার্বি খেলতে নামার আগে। আমি ভারতেই পারিনি গোল করব, দলকে এভাবে জিততে সাহায্য করতে পারব।‘ সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ইস্টবেঙ্গল জনতার প্রিয় নন্দা আরও বলেন, ‘সমর্থকদের কাছ থেকে দারু উৎসাহ পেয়েছি। বহুদিন পর এত দর্শকের সামনে খেলতে পারলাম। দলের সকলেই দারুণ পরিশ্রম করেছে।‘ কোন মন্ত্রে এল এই সাফল্য তা নিয়েও মুখ খুলেছেন নন্দা। তিনি বলেন, ‘দলের সকলেই একে অপরকে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছে। মোটিভেট করেছে। কোচ শুধু নয়, এটা বেশিরভাগ ফুটবলারের কাছেও প্রথম ডার্বি ছিল। তাই এটা স্পেশাল। কোচ সবাইকে নিজের ১০০ শতাংশ মাঠে নিংড়ে দিতে বলেছিলেন। আমরা সেটাই করেছি। আর সেই কারনেই এই জয়।‘
ওড়িশা এফসি থেকে নতুন মরশুমে ইস্টবেঙ্গলে সই করেছেন নন্দা। ফুটবলার হিসেবে প্রথমবার ভারতের সবচেয়ে বড় ডার্বি দেখেছেন। এই ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনার কথা আগে শুনেছেন। কিন্তু নিজের চোখে দেখার সুযোগ হয়নি। শনিবারের ম্যাচে ডার্বির উত্তেজনা শুধু দেখলেন না, সেই চাপ শুষে নিয়ে গোলটাও করে গেলেন। জয়ের উচ্ছ্বাসে সমর্থকদের ভেসে যাওয়ার ছবি দেখে ভালো লাগছে নব্দাকুমারের।
সাড়ে চারবছর পরে ডার্বিতে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। ডুরাণ্ডে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মোট ২১ ম্যাচে নয় নম্বর জয় এল। শনিবারের জয় শুধু ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ফিরিয়ে দিল না, চলতি ডুরাণ্ড কাপে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখল। এই ম্যাচের গোল করার পরে ক্যাপ্টেন হরমনজ্যোৎ খাবরা তাঁকে উন্মাদনা কোন পর্যায়ে গিয়েছে তা দেখতে বলেছিলেন। যা দেখে নন্দা আপ্লুত। মূলত বাঁ পায়ের ফুটবলার হলেও গোল করেছেন ডান পায়ের হার্ড ইনস্যুইং-এ। এই জন্য কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে কৃতিত্ব দিতে চান এই ফুটবলার। কারণ প্র্যাকটিসে কোচই তাঁকে বাঁ পায়ে শট নেওয়ার অনুশীলনে জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
আপাতত ডার্বি জয় আনন্দ দিলেও ডুরাণ্ড কাপের শেষ আটে পৌঁছতে বুধবার পঞ্জাব ম্যাচ জিততে হবে। তাই ডার্বির নায়ক আনন্দে ভেসে যাওয়ার বদলে নতুন লক্ষ্যে চোখ রাখতে চান।