দীর্ঘ টালবাহানার পর ঠিক হল কলকাতা ডার্বির দিন। তবে কলকাতা নয়, এবারের আইএসএল-এর ফিরতি ডার্বি আয়োজিত হতে চলেছে জামশেদপুরে। ১০ মার্চই হবে বাঙালির আবেগের বড় ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গল আয়োজিত এই ডার্বি ১০ মার্চ কলকাতায় হওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ তৃণমূল কংগ্রেস ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়ায় ডার্বি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
কলকাতাতেই অনুষ্ঠিত হবে আইএসএল-এর ফিরতি ডার্বি। সোমবার দীর্ঘ আলোচনার পর ঠিক হয় তারিখ বা স্থান কোনটাই পরিবর্তন হচ্ছে না। বদলে যাচ্ছে শুধু সময়টাই। রাত সাড়ে সাতটার জায়গায় রাত ন'টায় শুরু হবে বড় ম্যাচ। একটা সময় মনে করা হয়েছিল, কলকাতা নয়, ডার্বি হতে পারে ভুবনেশ্বর বা জামশেদপুরে। তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের জেরেই সমস্যা হয়ে যায় ডার্বি নিয়ে।
১০ মার্চ ব্রিগেড থাকলেও সেদিন রাতেই ডার্বি করা নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। তবে সমস্যা শুরু হয় তিন দিন আগের থেকে। এই ম্যাচের আয়োজক ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্রিগেডের দিন ডার্বির আয়োজন করা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ফলে অন্য কোনওদিন কর যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে। হোম ম্যাচের আয়োজক হিসেবে ইস্টবেঙ্গল ডার্বির আয়োজন করবে ঠিক থাকলেও আইএসএলের পুরো ক্রীড়াসূচিটা যেহেতু এফএসডিএল গোটা ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণ করে, তাই এফএসডিএলের সঙ্গে আলোচনা না করে ম্যাচের দিন ঠিক করা সম্ভব নয়। তাই প্রতি মুহূর্তে এফএসডিএল কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। কারণ, শুধুই ম্যাচ আয়োজন করলেই তো হবে না। টিভিতে ম্যাচ সম্প্রচারের বাপারটাও জড়িত।
পুলিশ প্রথমে প্রস্তাব দেয়, ডার্বি যদি ১১ মার্চ আয়োজন করা যায়। তবে মোহনবাগান স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ১১ মার্চ তাদের ম্যাচ খেলতে অসুবিধা নেই। কিন্তু ১৩ মার্চ কেরল ব্লাস্টারসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচের দিন এফএসডিএল-কে পরিবর্তন করতে হবে। এফএসডিএল অবশ্য মোহনবাগানের অ্যাওয়ে ম্যাচের দিন পরিবর্তন করতে রাজি নয়। উল্টে তারা ইস্টবেঙ্গলকে পরামর্শ দেয়, ডার্বি ম্যাচ তারা সপ্তাহের শেষে ছুটির দিনেই আয়োজন করুক। এর ফলে প্রচুর দর্শক মাঠে যেতে পারবেন, পাশাপাশি টিভিতেও দেখতে পারবেন।
সপ্তাহের শেষে ম্যাচ হলে আর্থিকভাবেও লাভ পাবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তখন ঠিক হয়, তাহলে ৯ মার্চ শনিবার, না হলে ১০ মার্চ রবিবারের মধ্যেই ম্যাচ করতে হবে। যেহেতু আগের থেকেই ঠিক রয়েছে, ম্যাচ ১০ মার্চ, তাই এফএসডিএল কর্তৃপক্ষর ইচ্ছে ম্যাচটা ১০ মার্চেই করতে। পুলিশ অবশ্য ১০ মার্চের মতো ৯ মার্চ ম্যাচ আয়োজনেও আপত্তি জানিয়ে রেখেছে। তবে ম্যাচ যদি ৯ মার্চ হয়, তাহলে সেদিন সন্ধে ৭.৩০ চেন্নাই ম্যাচের সময় বদলে আগে নিয়ে আসা হবে। ৯ মার্চ কিংবা ১০ মার্চ যুবভারতীতে ডার্বির আয়োজন করতে না পারে, ম্যাচটা চলে যেতে পারে জামশেদপুর অথবা ভুবনেশ্বরে। শেষ মুহূর্তে মাঠে নামছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। আশা করা যাচ্ছে, আজই ডার্বির দিন নিয়ে জট খুলে যাবে। তবে যা পরিস্থিতি, তাতে বাংলার বাইরে না ডার্বি চলে যায়।