মিচেল স্টার্ক। দাম ২৪.৭৫ কোটি টাকা। অস্ট্রেলিয়ার এই খেলোয়াড়কে এত টাকা খরচ করে দলে নিলেও বাকি ১০ খেলোয়াড়কে মাত্র ৭ কোটি টাকায় টিমে অন্তভুক্ত করেছে KKR। তাদের তরফে নিলামে খেলোয়াড় কেনাবেচা করতে যান দলের মেন্টর গৌতম গম্ভীর, দলের CEO ভেঙ্কি মাইসোর, কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার এবং অন্যরা। স্টার্ককে এত টাকা খরচ করে কেনার পর অনেকেই বলছেন, কলকাতা ঠিক করেই নিয়েছিল, মিচেলকে তাঁরা যে কোনও মূল্যে দলে নেবেন।
২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাই়ডার্স যখন টিম গঠন করে তখন গৌতম গম্ভীরকে ১১.০৪ কোটি টাকায় কিনেছিল ম্য়ানেজমেন্ট। সেই সময় গম্ভীরকে রেকর্ড দামে কিনে তাক লাগিয়েছিল শাহরুখ খানরা। সেই সময় KKR স্পষ্ট করে দিয়েছিল, তারা যে কোনও মূল্য গম্ভীরকে দলে চান। মিচেল স্টার্কের ক্ষেত্রেও কার্যত একই নীতি নেয় কলকাতা।
নিলামের আগে ভেঙ্কি মাইসোর জানিয়েছিলেন, নিলাম সব সময় চাপের। কোন খেলোয়াড়কে নেবেন বা নেবেন না তা নিয়ে আলাদা আলাদা সমীকরণ থাকে। তবে স্টার্ককে তাঁরা যে কোনও মূল্যে নিতে প্রস্তুত ছিলেন সেটাও প্রমাণিত হয়েছে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা এটাও বলছেন, বিডিং থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, কেকেআর স্টার্ককে নেবেই। কারণ, প্রায় ১৭ মিনিট বিডিংয়ে গুজরাত টাইটনসকে মোক্ষম লড়াই দেয় কেকেআর। অবশেষে গৌতম গম্ভীররাই শেষ হাসি হাসে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, স্টার্ক ২০১৪ ও ২০১৫ সালের আইপিএল-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেন।
উল্লেখ্য, কলকাতা নাইট রাইডার্স IPS নিলামে ৩২.৭ কোটি টাকা নিয়ে আসে। এই টাকায় চার বিদেশি খেলোয়াড়সহ ১২ জন খেলোয়াড়কে নিতে পারত গৌতম গম্ভীররা। IPL নিলামের আগে, কলকাতার একজন উইকেটরক্ষক, একজন অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার এবং স্পিন ছাড়া সব বিভাগে ব্যাকআপ দরকার ছিল।
নিলামের পর দেখা যায়, বিহারের মিডিয়াম পেস ফাস্ট বোলার সাকিব হুসেনও যোগ দিয়েছেন কেকেআর-এ। যদিও এখন পর্যন্ত মাত্র ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমানও এখন কেকেআর-এর কোর্টে। রমনদীপ সিং, শেরফেন রাদারফোর্ড এবং মনীশ পান্ডে দলে জায়গা পেয়েছেন। ফলে কলকাতার ব্যাটিং শক্তিশালী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর বাইরে কেকেআর একমাত্র ভারতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে কেএস ভরতকে দলে নিয়েছে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স যাদের ধরে রেখেছে- নীতীশ রানা, রিংকু সিং, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, শ্রেয়স আইয়ার, জেসন রায়, সুনীল নারিন, সুয়শ শর্মা, অনুকুল রায়, আন্দ্রে রাসেল, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরা এবং বরুণ চক্রবর্তী।
কেকেআর যে ১০ জন খেলোয়াড়কে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকায় কিনেছে- স্টার্ককে আইপিএলের রেকর্ড মূল্যে কেনা হয়েছে। কেকেআর-এর পার্সে যা টাকা ছিল তার ৭৫ শতাংশেরও বেশি খরচ হয়েছে। সেখানে কেএস ভারত, চেতন সাকারিয়া, আংক্রিশ রঘুবংশী, শ্রীকর ভারত, রমনদীপ সিং, শেরফেন রাদারফোর্ড, মনীশ পান্ডে, মুজিব উর রহমান, গুস অ্যাটকিনসন, সাকিব হুসেনকে ৭ কোটি ১০ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে।
কেএস ভরত (৫০ লাখ টাকা), চেতন সাকারিয়া (৫০ লাখ টাকা), মিচেল স্টার্ক (২৪.৭৫ কোটি টাকা), আংকৃশ রঘুবংশী (২০ লাখ টাকা), শ্রীকর ভারত (৫০ লাখ), রমনদীপ সিং (২০ লাখ টাকা), শেরফেন রাদারফোর্ড (১.৫ কোটি টাকা), মনীশ পান্ডে (৫০ লাখ টাকা), মুজিব উর রহমান (২ কোটি টাকা), গুস অ্যাটকিনসন (১ কোটি রুপি) এবং সাকিব হুসেন (২০ লাখ রুপি)।