ভেঙে দেওয়া হল মোহনবাগান ক্লাবের মার্চেন্ডাইজ শপ। দুইদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে এই মার্চেন্ডাইজ শপের কথা ঘোষণা করেছিলেন ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনও অনুমতি না থাকায় ভেঙে দেওয়া হল এই দোকান। এর আগেও ময়দানের বড় ক্লাবগুলি এমন সমস্যায় পড়েছে। নতুন করা কনস্ট্রাকশন ভেঙে দিয়েছে সেনাবাহিনী। এ ক্ষেত্রেও তেমনতাই দেখা গেল।
কী ঘটেছিল?
গুরু নানকের জন্মদিনের জন্য শুক্রবার ক্লাব বন্ধ ছিল। ফলে এই ঘটনা ক্লাবের কেউই জানতেন না সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা না করে ময়দানের কোনও ক্লাব কিছুই করতে পারে না। যদিও, মোহনবাগান ক্লাবের দাবি, কিছুদিনের মধ্যেই এই মার্চেন্ডাইজ শপ তুলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শোভাবাজার রাজবাড়িতে। তবে তার আগেই এমন ঘটনায় হতবাক সকলেই। যদিও কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি।
কী কী পাওয়া যাবে এই মার্চেন্ডাইজ শপে?
বুধবার থেকেই ময়দানের ক্লাব তাঁবুতে চালু হয়েছিল মোহনবাগানের প্রতীক দেওয়া স্মারক, টি-শার্ট, জলের বোতল, কাপ, ছ্যতা-সহ বিভিন্ন স্মারক বিক্রি। প্রত্যেক দিন বিকেল চারটে থেকে সন্ধে সাড়ে ছ'টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা ছিল এই দোকান। মোহনবাগান সচিব নিজে সেই মার্চেন্ডাইজ শপ ঘুরে দেখেছেন। উদ্দেশ্য মোহনবাগানের স্মারক যাতে আগত দর্শনার্থী, সদস্য-সমর্থকরা সংগ্রহে রাখতে পারেন । ভবিষ্যতে মার্চেন্ডাইজের তালিকায় আরও অনেক কিছু যোগ হবে বলেও জানিয়েছিলেন মোহনবাগান সচিব। তবে সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপের পর মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটাই দেখার।
তবে শহরের চার দিকে এই মার্চেন্ডাইজ শপ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে মোহনবাগান ক্লাবের। সমর্থকদের অনেকেই চান মোহনবাগানের স্মারক নিজের সংগ্রহে রাখতে। তবে তা বাইরে থেকে কিনতে হয়। যা আইনগত ভাবে অবৈধ। তবে সেই স্বপ্ন এতদিনে পূরণ হল । দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন, এই স্মারক সংগ্রহ করতে পকেটে টান পড়বে না। এবার নতুন করে কোথায় কবে এই শপ খোলা হবে সেটাই এখন দেখার।