দিমিত্রি পেত্রাতোসের (Dimitri Petratos) একমাত্র গোলে বুধবার এফসি গোয়াকে (FC Goa) হারিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। দল জিতলেও খুশি হতে পারেননি কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। দলে কিছু পরিবর্তন দরকার বলেও মনে করেন তিনি। জেতার পরেও দলে পরিবর্তন করার কথা সাধারণ ভাবে বলেন না কোনও কোচই তবে এক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা। আসলে মোহনবাগান এখনও তাদের প্রত্যাশা মত পারফর্ম করতে পারছে না। সেই কারণেই বদল হতে পারে।
গোয়া ম্যাচে জেসন কামিন্স, লিস্টন কোলাসোকে বাইরে রেখেই দল নামিয়ে দেন হাবাস। পরপর ম্যাচ খেলতে হওয়ায় তাঁদের বেঞ্চে রাখা হয়। দলে রাখা হয়েছিল দীপক টাংরি, দীপেন্দু বিশ্বাস, আর্মান্দো সাদিকু ও আশিস রাইকে দলে রাখা হয়। তবে পরের ম্যাচে এই দলেও পরিবর্তন হতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন হাবাস। মোহনবাগান কোচ বলেন, 'এক সপ্তাহে তিনটে ম্যাচ খেলতে হবে। অনেক ট্রাভেল করতে হচ্ছে। ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তনও ভাবাচ্ছে। পরের ম্যাচে দলে ৪-৫টা বদল করতে হবে।' সাধারণভাবে দেখা যায়, কোনও দলই ম্যাচ জেতার পর উইনিং কম্বিনেশন ভাঙতে চায় না তবে মোহনবাগান দলের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারে আলাদা।
সিনিয়র দলে সুযোগ পেয়ে দীপেন্দু বিশ্বাস ও অভিষেকরা দুরন্ত খেললেও, দল প্রথমার্ধে একেবারেই ভাল খেলতে পারেনি বলে স্বীকার করে নিয়েছেন হাবাস। জেসন কামিন্স আসার পরেই বদলে যায় গোটা চিত্র। দাপট দেখাতে থাকে সবুজ-মেরুন। সেই সময়ই ৭৮ মিনিটে গোল করে যান পেত্রাতোস। ম্যাচের পর হাবাস বলেন, 'প্রথমার্ধে গোয়া আমাদের থেকে ভাল ফুটবল খেলেছে। এরপর দলে আমরা কয়েকটা পরিবর্তন করি। তাতেই দল ভাল খেলতে শুরু করে। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা গোল পাই। এই অর্ধে দল অনেক শৃঙ্খলাবদ্ধ ফুটবল খেলে এবং গোলের সুযোগও তৈরি করে। আমরা শক্তি বজায় রাখতে পেরেছি। এটাই এই জয়ের জন্য খুবই জরুরি ছিল। দলের তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য আমাদের শক্তি বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে।’
প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়েছিল এফসি গোয়াই। বেশ কয়েকবার গোল করার সুযোগ পেয়ে গেলেও, স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় গোল করতে পারেননি নোয়া সাদোইরা। ডিফেন্সে দারুণ খেলে গিয়েছেন মোহনবাগানের দীপেন্দু।