আইএসএল-এ শুরুটা দারুণ করেছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) হারিয়ে জেতার পর তো বটেই, আইএসএল-এ (ISL) পরপর সাত ম্যাচ অপরাজিত ছিল জুয়ান ফেরান্দোর দল। সেই সময় অবধি সমর্থকরাও বেশ আনন্দে ছিলেন। তবে ছন্দপতন হতেই ফুটবলারদের আক্রমণ করা শুরু করে দিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা।
প্রথমে মুম্বই সিটি এফসি, তারপর এফসি গোয়া ও কেরল ব্লাস্টর্সের বিরুদ্ধেও হেরে যাওয়ায় রেগে আগুন ফ্যানরা। আইএসএল-এর প্রথম পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ায় ফুটবলারদের ছুটি দিয়েছেন জুয়ান ফেরান্দো। এরপর সুপার কাপের ম্যাচ। তার আগে ফুটবলররা ছুটির মুডে। ৩ জানুয়ারি তাঁরা যোগ দেবেন অনুশীলনে। বিদেশে ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছেন হুগো বুমোস, জেসন কামিন্সরা। এই ছবি তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই ট্রোলের বন্যা শুরু হয়ে যায়। দল হারছে তার মধ্যে ছুটি কাটাচ্ছেন কোন হিসেবে? প্রশ্ন তুলছেন সমর্থকরা।
যুবভারতীতে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে হারের পর 'গো ব্যাক জুয়ান' শুনতে হয়েছিল সবুজ-মেরুন কোচকে। আর কেরলের বিরুদ্ধে হারের পর, সাইডলাইনের ধারে বসে কাঁদতে দেখা যায় হুগো বুমোসকে। তা নিয়েও এদিন কটাক্ষ শুনতে হয়েছে মোহনবাগানের তারকা মিডফিল্ডারকে। স্ত্রীর সঙ্গে মলদ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন বিশ্বকপার স্ট্রাইকার জেসন কামিন্স। স্যুইমিং পুলে স্ত্রীর সঙ্গে স্নান করতে দেখা যায় তাঁকে। এ নিয়েও কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকে। এক সমর্থক লিখেছেন, 'কাল অনেক খাটাখাটনির পর একটু ওয়াটার পোলো রিফ্রেশমেন্ট।'
সুপার কাপের আগে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত মোহনবাগান। তাই সুপার কাপকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ জুয়ান। ইতিমধ্যেই ডুরান্ড কাপ জেতা হয়ে গিয়েছে তাদের। এবার লক্ষ্য আইএসএল। তাই প্রথম পর্বের শেষদিকের ব্যর্থতা ভুলে পরের পর্বের দিকেই ফোকাস করতে চাইছেন হুগো বুমোস, শুভাশিস বসুরা।
এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দলকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট করে তোলা বিরাট বড় চ্যালেঞ্জ বলে মানছেন ফেরান্দো। পাশাপাশি আইএসএলের খেতাব ধরে রাখতে কয়েকজন ফুটবলার বদল করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। বিশেষ করে আক্রমনাত্মক মিডফিল্ডার প্রয়োজন যে বলের যোগান দিতে পারবেন স্ট্রাইকারদের। সাহালের জায়গায় জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন কোনও ফুটবলার চাইছেন তাঁরা। তবে কোনও ফুটবলারকে এখন ফাঁকা পাওয়া বেশ মুশকিল। ভাল ফুটবলারদের প্রায় সকলেই বিভিন্ন দলের হয়ে খেলছে। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে আসতে গেলে ফের মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হবে বা অন্য কোনও ফুটবলারকে ছাড়তে হবে। ফলে সমস্যা বেড়েছে মোহনবাগানের।