কলকাতা লিগে (Kolkata League) সুপার সিক্সে ওঠার আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। আর এবার আরও লজ্জার মুখে পড়তে হল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে (Mohun Bagan Super Giant)। কালিঘাট স্পোর্টস লাভার্সের (Kalighat Sports Lovers) বিরুদ্ধে কলকাতা লিগে হেরে গেল সবুজ-মেরুন শিবির। লখনউয়ে ডার্বি (Kolkata Derby) জিতে আসার পরে অনেকটা উজ্জীবিত ফুটবল খেলবে দল। এমনটা আশা থাকলেও বাস্তবে দেখা গেল তার একেবারে উল্টো ছবি।
শুরুতে গোল খেয়ে চাপে পড়ে মোহনবাগান
এদিন শুরুতেই ধাক্কা খায় সবুজ-মেরুন। ৩৫ মিনিটে হোরামের গোলে এগিয়ে যায় কালীঘাট। অভয়ের ফ্রিকিক থেকে যখন হোরাম জালে বল জড়াচ্ছেন, তখন কোনও মোহনবাগান ডিফেন্ডার তাঁকে সেভাবে মার্কই করতে পারলেন না। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা ফেরায় তাঁরা। কালীঘাটের গোলকিপার হাওকিপ পেনাল্টি বক্সের মধ্যে বল বিপদ থেকে মুক্ত করতে পারেননি। সেই সুযোগে গোলের কাছে পৌঁছে যান এনসন সিং। কিন্তু তাঁকে অত্যন্ত বিশ্রীভাবে ফাউল করেন কালীঘাট এসএলের ডিফেন্ডার। সেখান থেকে পেনাল্টিতে গোল করে যান আদিল আবদুল্লা।
ম্যাচে ফিরতেই পারেনি মোহনবাগান
মনে করা হয়েছিল, এরপর ছন্দে ফিরবে মোহনবাগান। তবে তা হয়নি। সমতা ফেরালেও, হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় সুমিত রাঠিদের। ম্যাচের ৭০ মিনিটে ফের গোল কালীঘাট এসএলের। সৈকতের দুরন্ত শটেই শেষ হয়ে যায় মোহনবাগানের জয়ের সমস্ত আশা। শেষ পর্যন্ত ফলাফল থাকে কালীঘাটের পক্ষে ২-১।
কলকাতা লিগে এবার একেবারেই প্রত্যাশামতো খেলতে পারেনি মোহনবাগান। কোনও ম্যাচ জিতেছে বিরাট ব্যবধানে, আবার অনেক সহজ ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করেছে। সব মিলিয়ে সিএফএল সফরটা রোলার কোস্টার ছিল সুমিত রাঠিদের জন্য। তবে কখনই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি তারা। গত কয়েক বছরেই কলকাতা লিগ জিততে ব্যর্থ হয়েছে। এবারে তো পরের রাউন্ডেই যেতে পারল না। সিনিয়র দল ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরলেও জুনিয়র দলকে নিয়ে চিন্তা থেকেই গেল দেগি কার্ডোজোর।