শহরে চলে এলেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan) বিশ্বকাপার স্ট্রাইকার জেসন কামিন্স (Jason Cummings)। শনিবার ভোর তিনটের সময় কলকাতায় পা রাখেনি লিওনেল মেসির (Lionel Messi) বিরুদ্ধে খেলা এই স্ট্রাইকার।
এই মরশুমে অস্ট্রেলিয়ার ক্লাব ওয়েস্ট কোস্ট মেরিনার্সের (West Coast Marriners) থেকে রেকর্ড অঙ্কের অর্থে মোহনবাগানে সই করেছেন এই স্ট্রাইকার। গত মরশুমে মেরিনার্সের হয়ে চোটের জন্য খুব বেশি ম্যাচ খেলতে না পারলেও শেষদিকে দলে ফিরে এসে নিজের ফর্ম ফিরে পেয়েছিলেন কামিন্স। শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিকও করেন এই ফুটবলার। এমন ফুটবলার সবুজ-মেরুনে সই করায়, স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছসিত মোহনবাগান সমর্থকরা। শনিবার ভোরে কামিন্স এসেই তা টের পেয়েছেন। ভোর তিনটের সময়, কলকাতা বিমানবন্দর গমগম করছিল মেরিনার্সদের চিৎকারে। মোহনবাগানের সমর্থকদের উন্মাদনা টের পেলেন তাঁর সঙ্গে আসা তাঁর বান্ধবীও। তাঁর মুখের অভিব্যক্তিই সবটাই বলে দিচ্ছিল।
মোহনবাগান সমর্থকরা দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে ছিলেন কামিন্সর জন্য। সবুজ-মেরুন সমর্থকরা শুক্রবার থেকেই সোশ্যাল মিডিযায় কামিন্সর কলকাতায় আসার ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করতে থাকেন। কামিন্স নিজেও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাকটিভ ছিলেন।
শনিবার থেকেই অনুশীলন শুরু করছে মোহনবাগানের সিনিয়র দল। যদিও প্রথম দিনের অনুশীলনে দর্শকদের প্রবেশধিকার থাকছে না। ক্লোজ ডোর অনুশীলনে মূলত ফুটবলারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পেশাদার ফুটবলে ১৫০-রও বেশি গোল রয়েছে অজি তারকার। গত মরশুমে ৪৯ ম্যাচে ৪০ টি গোল রয়েছে তাঁর। সই করে জেসন কামিন্স জানান, 'অনেকদিন ধরেই এ লিগের ফুটবলররা ভারতে খেলতে আসছে। অমিও বেশকিছু বছর ধরে ভারতীয় ফুটবলের দিকে নজর রাখছিলাম। যখন বুঝতে পারি শুধু ISL নয়, মোহনবাগানের লক্ষ্য এএফসি কাপ তখনই ভালো লেগেছিল। আগামী তিন বছর আমি মোহনবাগানাকে প্রচুর ট্রফি দিতে চাই।'
পাশাপাশি মোহনবাগানে সই করার অন্যতম প্রধান কারণ যে সমর্থকরা তাও জানাতে ভোলেননি কামিন্স। তিনি বলেন, ' ইতিমধ্যেই আমি সমর্থকদের আবেগের কথা জানতে পেরেছি। কারণ ইনবক্সে প্রচুর মেসেজ পেয়েছি। ধন্যবাদ জানাতে চাই সকলকে। আর অবশ্যই নিজের সেরাটা দিতে চাই।'
সেই জন্যই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আসলে শুধু আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া নয়, মোহনবাগানের লক্ষ্য এশিয়া সেরা হওয়া। আর সেই লক্ষ্যেই একের পর এক তারকা সই করাচ্ছে তারা।