চারটে গোলের তিনটেতেই তাঁর অবদান। ম্যাচ শুরু হোয়ার আগে তাঁকে নিয়ে টিফো এনেছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। পাশাপাশি তাঁর পাস থেকেই গোল করে গেলেন ফর্মের ধারেকাছে না থাকা বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। মেরিনার্স এরিনার পক্ষ থেকে করা টিফোতে লেখা ছিল, 'রিটার্ন অফ হাল্ক।' সত্যিই তো তাই। জনি কাউকো ফিরে আসার পরেই পালতোলা নৌকা তরতরিয়ে এগোচ্ছে।
আইএসএল-এর প্রথমপর্বে শেষ তিন ম্যাচ হেরেছিল জুয়ান ফেরান্দোর মোহনবাগান। ডুয়ান্ড জিতলেও এএফসি কাপ থেকে বিদায়, তারপর আইএসএল-এ এমন ফর্মের জেরে সরে যেতে হয় জুয়ানকে। হেড কোচের দায়িত্ব পান আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। সুপার কাপের পর দায়িত্ব নিয়েই ডার্বি ম্যাচ। সেই ম্যাচে ড্র করে মোহনবাগান। তবে দলের চেহারা বদলে যায় হুগো বুমোসকে সরিয়ে চোট সারিয়ে ফেরা জনি কাউকোকে রেজিস্টার করানোর পর। শনিবার যুবভারতীতে হাল্কের মতোই খেলে গেলেন ফিনল্যান্ডের ইউরো কাপার।
শুরুতে দল ১ গোলে পিছিয়ে পড়লেও, প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে জ্বলে ওঠে মহনবাগান। লিস্টন কোলাসো সমতা ফেরানোর গোলটা করলেও, পাসটা ছিল কাউকোর কাছ থেকেই। এরপরেই বিশ্বকাপার কামিন্স যে গোলটা করলেন সেটাও এসেছিল কাউকোর মাথা থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটে আবারও দিমিত্রি পেত্রাতোস যখন গোল করলেন তখনও পাস দিয়েছিলেন সেই 'হাল্ক'। ফলে মোহনবাগান সমর্থকরা যা বোঝাতে চেয়েছিলেন সেটা একেবারেই মিথ্যে নয়। সেটাই আবারও প্রমাণ করলেন কাউকো। পাশাপাশি হাবাসকেও এই জয়ের কৃতিত্ব দিতে হবে।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে যে সময় মোহনবাগান দুই গোল করল, সেই সময়ে পেত্রাতোসকে বাঁদিক থেকে ডান দিকে নিয়ে আসেন হাবাস। আর বাঁ দিকে চলে জন লিস্টন। এই পরিবর্তন ধরতেই পারেনি নর্থইস্ট। ফলে ম্যাচে ফেরত আসা সহজ হয় মোহনবাগানের পক্ষে। এই জয়ের ফলে একেবারে লিগ টেবিলের দুই নম্বরে পৌঁছে গেল সবুজ-মেরুন। ১৪ ম্যাচে হাবাসদের ২৯ পয়েন্ট। ১৫ ম্যাচ খেলে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ওড়িশা এফসি। ফলে পরের ম্যাচ জিততে পারলেই শীর্ষে চলে যাবে মোহনাবাগান।