আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে টিফো দেখা গেল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ কলকাতায় ফিরতেই প্রতিবাদ আছড়ে পড়ল গ্যালারিতে। টিফো নিয়ে আসা নিয়েও বেশ সমস্যায় পড়তে হয়য়েছিল মোহনবাগান সমর্থকদের। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে সেই টিফো নিয়ে আসেন সমর্থকরা।
১৮ আগস্ট ডুরান্ড কাপের ডার্বি হওয়ার কথা থাকলেও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখর হতে পারে গ্যালারি। সেই আশঙ্কায় সেই ডার্বি বাতিল হয়ে যায়। ১ পয়েন্ট করে পেয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ও ইস্টবেঙ্গল। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা থেকে। এই সমস্ত কিচুর প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন দুই দলের সমর্থকরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন মহমেডান সমর্থকরাও। প্রায় ৩-৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ইএম বাইপাসে চলতে থাকে বিক্ষোভ।
এরপর সেমিফাইনাল ম্যাচ কলকাতায় হওয়ায়, নিজেদের চাপা ক্ষোভ আর চেপে রাখেননি সমর্থকরা। ডুরান্ড ডার্বিতে যে টিফো নিয়ে আসার কথা ছিল মোহনবাগান সমর্থকদের। সেই টিফোই এদিন তাঁরা নিয়ে আসেন যুবভারতীতে। তারপরেই বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াল মোহনবাগান সমর্থকরা ৷ মাঠে দেখা গেল ‘আমাদের বোনের বিচার চাই’ লেখা প্রমাণ আকৃতির টিফো ৷ মাঠে না থাকলেও টিফোতে ছিল ইস্টবেঙ্গলও। আর সেটাই ফের সংহতির বার্তা দিল।
ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। ০-২ গোলে পিছিয়ে থেকেও সমতা ফেরায় তারা। প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে বিনিথ ভেঙ্কটেশকে বক্সে ঢোকার মুখে ফাউল করে বসেন মোহনবাগানের তারকা লিস্টন কোলাসো। রেফারি পেনাল্টি দেন। গোল করেন সুনীল ছেত্রী।
ডিফেন্সে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে গোলসংখ্যা বাড়ায় বেঙ্গালুরু। গোল করেন ভেঙ্কটেশ। লিস্টন কোলাসোকে জার্সি ধরে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় সবুজ-মেরুন। ৬৯ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোস, গুরপ্রীতকে উল্টোদিকে ফেলে গোল করে যান। এরপর দারুণ শটে গোল করে দলকে সমতা এনে দেন অনিরুদ্ধ থাপা। কর্নার থেকে বল পান তিনি। গোল থেকে অনেকটা দূরে থাকলেও তাঁর চেটো দিয়ে মারা শট সরাসরি গোলে ঢোকে। পেনাল্টিতে দু'টি সেভ করে দলের জয় নিশ্চিত করেন বিশাল কাইত।