অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে। ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও দারুণভাবে ফেরত আসে সবুজ-মেরুন। গোল করেন মনবীর সিং। তবে এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা। তবে তা না হওয়ায় হতাশ হবেন তিনি।
আশিষ রাই ব্যাকপাস দেন বিশালকে। তিনি বল ধরে নেওয়ায় ইনডিরেক্ট ফ্রি কিক পায় ওড়িশা। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে এই ফ্রি কিক থেকে ৪ মিনিটেই গোল করেন হুগো বুমোস। তাঁর জোরাল শট মনবীরের পায়ে লেগে ঢুকে যায়। দিমি পেত্রাতোস ছাড়া সকলেই গোলের সামনে দাঁড়িয়ে ওয়াল বানালেও, এই গোল ঠেকাতে পারেননি।
এই গোলের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে গোল করে কার্যত মনের জ্বালা মেটালেন হুগো বুমোস। সবুজ-মেরুন ব্রিগেড থেকে হুগোর রিলিজ কিন্তু একেবারে মসৃণ ছিল না। তাঁকে বেশ কয়েকটা ম্য়াচ বসিয়েও রাখা হয়েছিল। অবশেষে গোল করে যাবতীয় অপমানের যোগ্য জবাব দিলেন তিনি।
তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই সমতা ফেরায় মোহনবাগান। ৩৬ মিনিটে পেত্রাতোসের কর্নার থেকে দারুণ টেকনিকে হেড করে গোল করেন মনবীর। গোলকিপার অমরিন্দর দুই হাত লাগিয়ে চেষ্টা করেও সেই বল বাঁচাতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায়। দুই দলই বেশকিছু সুযোগও পেয়ে গিয়েছিল। তবে সেখান থেকে গোল হয়নি। বেশকিছু ক্ষেত্রে বিশাল কাইত দারুণ সেভ করে মোহনবাগানকে বাঁচিয়ে দেন। জন্মদিনে অ্যাসিস্ট পেলেও গোল পেলেন না দিমিত্রি পেত্রাতোস। ফলে তাঁর হতাশা থাকবেই। দুই দলই মূলত বিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গিয়েছে। লিস্টন কোলাসো বেশ কয়েকবার ওড়িশা ডিফেন্সে হানা দিলেও গোল করার মতো কিছু করতে পারেননি।
১ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলের ২ নম্বরেই থাকল মোহনবাগান। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৪। শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি ৮ ম্যাচে পেয়েছে ১৭ পয়েন্ট। আট ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরেই থাকল ওড়িশা।