আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) জেরে বাতিল করতে হয়েছিল ডুরান্ড (Durand Cup 2024) ডার্বি (Kolkata Derby)। তারপরেও সেই রবিবারই টিফো-ব্যানার নিয়ে আন্দোলন আছড়ে পড়েছিল যুবভারতীর বাইরে। দুই প্রধান শুধু নয়, তিন প্রধানের সমর্থকরা ইতিহাস গড়েছিলেন একসঙ্গে হাতে হাত রেখে প্রতিবাদে মুখর হয়ে। বাংলা দেখেছিল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল- মহমেডান সমর্থকদের আশ্চর্য মেলবন্ধন। চাপে পড়ে কলকাতাতেই ফেরাতে হয়েছে ডুরান্ড কাপ। ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) আর মহমেডান (Mohammedan Sporting) ছিটকে গেলেও, গতবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant) সেমিফাইনালে নামছে বেঙ্গালুরু এফসি (Bengaluru FC)-র বিরুদ্ধে। তবে ক্ষোভের আঁচ পেয়েই ব্যানার-টিফো নিষিদ্ধ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
কেন নিষিদ্ধ টিফো-ব্যানার?
আজ বিকেলে যুবভারতীতেই ডুরান্ডের সেমিফাইনালে সুনীল ছেত্রীদের (Sunil Chhetri) বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে নামছে সবুজ-মেরুন। দিমিত্রি পেত্রাতোসদের সঙ্গে সুনীল ছেত্রীদের লড়াই দেখতে মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ প্রবল। কিন্তু সেখানে যদি আবার 'জাস্টিস ফর আরজি কর' স্লোগান লেখা ব্যানার-টিফো দেখা যায়? তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই সতর্ক পুলিশ। একদিন আগেই রীতিমতো নোটিশ দিয়ে বলে দেওয়া হল, মাঠে কোনও রকম টিফো-ব্যানার নিয়ে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
কী কী নিয়ে ঢোকা যাবে না?
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন বিধাননগর পুলিশের অধীনে। বিধাননগরের যুগ্ম কমিশনারের সই করা নোটিশে বলা হয়েছে, 'সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে, মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও বেঙ্গালুরু এফসির ম্যাচে কোনও রকম টিফো, ড্রামস, স্মোক ক্যান্ডালস বা এমন কোনও জিনিস নিয়ে আসবেন না, যা দাহ্য পদার্থ। স্টেডিয়ামে এই সব জিনিস পুরোপুরি নিষিদ্ধ। নিরাপত্তার বিষয়ে আপনারা সহযোগিতা করবেন, এটাই কাম্য।' সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, 'আপনাদের দিক থেকে ইতিবাচক ভূমিকার আশা রাখছি। দুই টিমের কাছ থেকেও। দারুণ একটা সেমিফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করুন।' ১৮ অগস্ট ডুরান্ড ডার্বির আগে গ্যালারিতে প্রতিবাদ জানাতে তৈরি হয়েছিলেন দুই প্রধানের সমর্থকেরা। প্রচুর টিফো-ব্যানার তৈরি করা হয়েছিল তাই আগে থেকেই সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
ইস্টবেঙ্গল যেহেতু ডুরান্ড থেকে বিদায় নিয়েছে, তাই গ্যালারিতে লাল হলুদ সমর্থকরা থাকবেন না। মোহনবাগান সমর্থকেরাও এই ম্যাচে পুলিশের অনুরোধকেই মান্যতা দিতে চায়। অন্যতম ফ্যান্স ক্লাব 'মেরিনার্স এরিনা'-যাদের সদস্যরা ডার্বিতে প্রতিবাদের বড় ভূমিকায় ছিলেন, তাঁরা এ বার কিছু করতে চান না। সংস্থার সিইও কৌস্তভ দেবনাথ বললেন, 'আবার কিছু করলে ম্যাচটাই হয়তো হবে না। আমরা চাই ম্যাচটা হোক। মোহনবাগান ফাইনালে উঠুক। জামশেদপুরেও খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে কোনও বিধিনিষেধ না থাকলেও আমরা প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটিনি।