Advertisement

দিনের পর দিন ছেলে সেজে ক্রিকেট খেলেছেন এই পাক মহিলা, কেন?

আমজাদ জানিয়েছেন, 'করোনা মহামারীর সময় ছেলেদের রাস্তার ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মেয়েদের দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় ছেলে সেজে অনুশীলন করা ছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না।'

বিসমা আমজাদ
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 19 Jan 2022,
  • अपडेटेड 2:59 PM IST
  • কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়
  • আর এই বাক্য সত্যি করে দেখিয়েছেন পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটার বিসমা আমজাদ
  • খেলার প্রতি অদম্য ইচ্ছে তাঁকে ছেলে সাজতে বাধ্য করেছে

কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। আর এই বাক্য সত্যি করে দেখিয়েছেন পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটার বিসমা আমজাদ। খেলার প্রতি অদম্য ইচ্ছে তাঁকে ছেলে সাজতে বাধ্য করেছে। আসলে মেয়ে হওয়ার কারণে প্র্যাক্টিস নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল আমজাদকে। সেই জন্য তিনি ছেলে সেজে অনুশীলন চালিয়ে যান। এই ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলতে চান। 

পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট দলেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২১ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোভিডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। এতে কার্যত আশাহত হন আমজাদ। তবে তিনি হাল ছাড়েননি। সমানে প্র্যাকটিস চালিয়ে যাওয়ার মনোস্থির করে। তবে বাধ সাধে কোভিড। ফলে আমজাদের অনুশীলন বন্ধ হয়ে যায়। তিনি মেয়ে হওয়ায় প্র্যাক্টিস করার জায়গা বা সুযোগ পাননি। আর তখনই ছক ভাঙা সিদ্ধান্ত নেন আমজাদ। 

আরও পড়ুন : করোনা ছাড়াও এই সব রোগ থেকে মুক্তি দিচ্ছে Covid ভ্যাকসিন

ছেলেদের সঙ্গে গলি ক্রিকেটে অনুশীলন শুরু করেন তিনি। এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যকে আমজাদ জানিয়েছেন, 'করোনা মহামারীর সময় ছেলেদের রাস্তার ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মেয়েদের দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় ছেলে সেজে অনুশীলন করা ছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না।'
পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা আমজাদ বলেন, 'ক্রিকেট খেলার জন্য তাঁকে অনেক কটূক্তি করা হয়। তবে সেই সবকে পাত্তা দেননি আমজাদ। রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে হয়ে ক্রিকেট খেলা সহজ নয়। সেই কারণে তাঁকে ছেলেদের মতো চুল কেটে প্র্যাক্টিস করতে হয়েছে। যাতে কেউ চিনতে না পারে। 

তবে পাড়ার লোকজন বা সমাজ তাঁর পাশে না থাকলেও আমজাদ পাশে পেয়েছেন তাঁর বাবাকে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাবা তাঁকে উৎসাহ জুগিয়েছেন দিনের পর দিন। খেলার জন্য মাঠে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁর বাবা অসুস্থ হওয়ার পর তিনি নিজে সাইকেল চালানো শেখেন। আর একা একা প্র্যাক্টিসে যেতে শুরু করেন। তার জন্যও কটূক্তি শুনতে হয়েছে। 

Advertisement

আরও পড়ুন : রাত্রিবেলায় এই কাজটি করলেই কাছে ঘেঁষবে না Omicron

আমজাদ আরও জানান, তাঁর বাবা-মা তাঁকে এক বছর সময় দিয়েছেন। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এক বছরের মধ্যে তাঁকে হয় পাকিস্তান জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে হবে, না হলে তাকে ক্রিকেট ছেড়ে দিতে হবে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ এই মহিলা ক্রিকেটার। মনোযোগ দিয়ে প্র্যাক্টিস করে যাচ্ছেন তিনি। 
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement