মোহনবাগান ছাড়ার পর আবেগে ভাসলেন প্রীতম কোটাল। তিনি যে মোহনবাগান ছাড়ছেন তা অনেক আগেই জানা হয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন ছাড়ছেন প্রীতম কোটাল। গত মরশুমে তাঁর অধিনায়কত্বেই মোহনবাগান আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, কেরল ব্লাস্টার্সের সঙ্গে সবুজ-মেরুনের সোয়াপ ডিল হচ্ছে, সেই অনুযায়ী, সাহাল আব্দুল সামাদ আসছেন মোহনবাগানে।
কী লিখলেন প্রীতম?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের উদ্দেশ্যে পোস্ট করেন প্রীতম। ২০১৩ সাল থেকে সবুজ-মেরুন জার্সিতে খেলছেন এই বাঙালি ফুটবলার। তিনি লেখেন, ‘কিচ্ছুটি থেমে থাকে না। পায়ে পায়ে পাড়ি দেয় অন্য কোথাও। তবুও ফেলে আসা সময়টুকু সাথে থেকে যায়। সেই সবুজ মেরুনের আবেগ, গ্যালারিতে সমর্থকদের চিৎকার, তাদের হাসি, তাদের চোখের জল, সতীর্থদের ভালোবাসা এগুলো না হয় জমা থাকুক আমার মনে। একসাথে বেঁধে থাকা এতগুলো বছর। অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে নতুন করে পাওয়া। সবকিছুই আমার সঞ্চয়কে আরও পরিপূর্ণ করেছে। তবে আপাতত টান টান উত্তেজনা নিয়েই মোহন বাগান -এর হয়ে খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেছে। বলতে দ্বিধা নেই নিজেকে উজাড় করে দিয়ে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আসলে কী জানেন তো, বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ে পা থেকে বলটা কাটানো যায় কিন্তু এই সবজু মেরুনের মায়াটা কাটানো সত্যি একটু কঠিন হয়ে যায়। সবাইকে অফুরান ভালোবাসা। আবার দেখা হবে নতুন কোন একদিনে.....’
শুক্রবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রীতমের বিদায়ের খবর জানিয়ে দেয় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সবুজ-মেরুন সমর্থকরা যদিও এখনও মানতে পারছেন না প্রীতম তাদের দলে নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে। গত মরশুমে দলের স্বার্থে অনভ্যস্ত স্টপার পজিশনে খেলতে হয়েছিল প্রীতমকে। বাংলার এই ফুটবলারের কেরিয়ার শুরু হয় ২০১৩ সালে। সেই সময় প্রীতম ইন্ডিয়ান অ্যারোজ থেকে মোহনবাগানে সই করেন। সেই মরশুমেই সঞ্জয় সেনের কোচিং-এ আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
তবে এবার কেরলে চলে যেতে হচ্ছে প্রীতমকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাই আবেগে ভাসছেন অসংখ্য সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। অনেকে আবার ক্ষুব্ধও। কিছু সমর্থক মনে করছেন, ‘মোহনবাগানের আবেগ যে সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারত, সেই প্রীতমকেই মোহনবাগান ফিরে আসার পর ছেড়ে দেওয়া হল!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘একজন খাঁটি মোহনবাগানি চলে গেল।‘