ফুটবল মাঠে 'জাস্টিস ফর আরজি কর' ধ্বনি আটকানো গেল না কোনোভাবেই। ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচ বাতিল হলেও, রাস্তায় নেমে তার প্রতিবাদ করেছেন তিন প্রধানের সমর্থকরা। সোমবার মাঠে নেমে গোল করে জাস্টিস ফর আর জি কর বার্তা দেন মহামেডান ফুটবলার মহীতোষ। মঙ্গলবারও সেই ধারা বজায় থাকল ময়দানে। গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে যাওয়ার পরে আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে বার্তা দেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ম্যাচ চলাকালীন ইস্টবেঙ্গল মাঠেও আর জি করের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ব্যানার রাখা ছিল।
সোমবার নেপালের ললিতপুরেও অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও নেপাল। গোল করেন বাংলার ছেলে মনিরুল মোল্লা। তার পরই জার্সি খুলে সেলিব্রেট করেন তিনি। সেখানেও ছিল আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে ‘জাস্টিস’-এর দাবি। প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত রাখল মঙ্গলবারের ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার রেনবো এসির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের শুরু থেকেই নজর কেড়েছিল সমর্থকদের আনা বিশাল ব্যানার। গ্যালারির একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল ‘তোমার শহর, আমার শহর, পাশে আছি আর জি কর’ ব্যানার। ম্যাচের প্রথম ৭৫ মিনিট গোলশূন্য ছিল। ৭৫ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সঞ্জীব ঘোষ। তার পরেই গ্যালারির দিকে ছুটে এসে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আর জি কর’ লেখা জার্সি তুলে ধরেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। সবমিলিয়ে, আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে এভাবেই সরব রইল ফুটবলের মাঠ।
তবে সোমবার মহীতোষের প্রতিবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মহমেডানের ইসতিয়াক। তিনি বলেন, 'ফুটবলাররা প্রতিবাদ করেছে। তাদের অধিকার। আমাদের অনুমতি নেয়নি। ওদের প্রতিবাদের মঞ্চ ঠিক ছিল না।' যদিও ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের আজকের প্রতিবাদ নিয়ে হীরা মন্ডলদের পাশেই দাঁড়ালেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন, 'স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা তার ইচ্ছেকে সমর্থন করি। আমার প্লেয়ারকে শো কজ করলে তখন উত্তর দেব।'