সোমবার বাংলাদেশে পৌঁছে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) কর্তারা। বুধবার দুপুরে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের কর্ণধার সায়েম সুভান আনভীরের (Sayem Sobhan Anvir) সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। বিনিয়োগের ব্যাপারে কথা হয়েছে দুই পক্ষের। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে পাঁচজন বাংলাদেশে গিয়েছেন। রয়েছেন ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও। ও পার বাংলা থেকে বিনিয়োগের আশ্বাসও পাওয়া গিয়েছে বলেই দাবি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। ২৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় এসে ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন আনভীর। লাল-হলুদ ক্লাবে এসে বাংলাদেশের অন্যতম সফল শিল্পপতি বলেন, ''ইস্টবেঙ্গলকে আমি নিজের ক্লাব বলেই মনে করি। আমরা চাই দুই বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ আরও কাছাকাছি আসুক। ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে বিনিয়োগের প্রস্তাব এলে আমরা ভেবে দেখব। আসলে আমি ভারতীয় ফুটবলে বিনিয়োগ করতে চাই।''
সেইদিন দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কিছুদিন পরে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রণ আসে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের উদ্দেশ্যে। সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই ঢাকা উড়ে গিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। সোমবার ঢাকা পৌঁছানোর পরে শেখ রাসেলের পরিকাঠামো ঘুরে দেখেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। দুই তরফের কর্তাদের মধ্যে ইতিবাচক কথাবার্তা হয়েছে বলেই শোনা যাচ্ছে।
গত দুই মরশুমে একেবারেই ভাল খেলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) সঙ্গে চুক্তিও ভেঙে যেতে বসেছিল এই মরশুমে। চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে আইএসএল-এ খেলাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসরে নামেন। শ্রী সিমেন্টের কর্তাদের বুঝিয়ে বিনিয়োগ করার জন্য রাজি করান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবুও মাঠে একেবারেই ভাল খেলতে পারেননি লাল-হলুদ ফুটবলাররা। তাই এবার বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ নিয়ে আসতে চাইছেন ক্লাব কর্তারা।
শ্রী সিমেন্টের তরফ থেকেও বিচ্ছেদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দ্রুতই বিচ্ছেদের চিঠিও ক্লাবকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।