ইয়ুথ লিগে মোহনবাগানের (East Bengal vs Mohun Bagan) বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জিতলেও পয়েন্ট কাটা গেল ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। পাশাপাশি বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হল লাল-হলুদ ক্লাবকে। ইয়ুথ লিগের প্রথম ডার্বিতে (Kolkata Derby) হারের পর বয়স ভাঁড়ানো ও জাল আঁধার কার্ড ব্যবহার করে ফুটবলারকে খেলানোর অভিযোগ তুলেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। এআইএফএফ সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিয়েছে।
কী শাস্তি হচ্ছে?
ছয় ফুটবলারকে চার বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে এআইএফএফ। সেই বিতর্কিত ডার্বি ম্যাচের পর, আর সেই ফুটবলারকে খেলায়নি ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘদিন তদন্ত চলার পর অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের সেই খেলোয়াড়কে সাসপেন্ড করল ফেডারেশন। জানা গেছে তাদের মধ্যে একজন খেলোয়াড় আগে মোহনবাগানের জুনিয়র দলে খেলত। অনূর্ধ্ব ১৭ ইয়ুথ লিগে রেজিস্ট্রেশনের সময় আধার কার্ডে তার নাম পরিবর্তন করা হলেও বাবার নাম পরিবর্তন হয়নি। এই অপরাধের জন্য বড় শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকেও। ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
যদিও ক্লাব কর্তাদের দাবি, 'কোনও ফুটবলার যদি জাল কাগজপত্র জমা দেয় তা হলে ক্লাবের কী করার আছে? আমাদের এতে কোনও দোষ নেই।' তবে যতই কর্তারা ব্যাপারটা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করুন, প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, এর আগে এই ফুটবলার যে মোহনবাগানে খেলত তা নিশ্চিতভাবেই জানতেন সেই কর্তারা। তা হলে মোহনবাগানে সে যে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছিল তা দেখলেই বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যেত। তবে তা করেননি লাল-হলুদ কর্তারা। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে এই সমস্ত ব্যাপারে আরও যত্নবান হতে হয়।
কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ফেডারেশন?
ভবিষ্যতে এই সমস্যা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে এআইএফএফ। অনলাইনে ইলেট্রনিক ডেটা ব্যাঙ্কে ক্লাবের ও ফুটবলারদের সমস্ত তথ্য রাখতে হবে। তা হলে এমন ঘটনা ঠেকান যাবে বলে মত ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের।
জামসেদপুরে সুহের
ইস্টবেঙ্গল থেকে জামশেদপুর এফসিতে সই করলেন ভিপি সুহের। লাল-হলুদ জার্সিতে বেশকিছু মরসুম খেললেও সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি সুহের। সেই কারণেই সুপার কাপের মাঝে জামশেদপুরে চলে গেলেন তারকা স্ট্রাইকার।