শনিবার মোহনবাগান তাঁবুতে পালিত হল মোহনবাগান দিবস (Mohun Bagan Day)। আর সেই দিনই প্রকাশিত হল সুব্রত ভট্টাচার্যের আত্মজীবনী ‘ষোল আনা বাবলু’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ফুটবলের পোস্টারবয় সুনীল ছেত্রী।এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবেরই একাধিক প্রাক্তন ফুটবলার হাজির হয়েছিলেন।
তবে এই অনুষ্ঠানে মধ্যমণি ছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তিনি এই অনুষ্ঠানে 'কোচ' সুব্রত ভট্টাচার্যকে ভরিয়ে দেন। অনুষ্ঠানে সুনীল বলেন, ‘মোহনবাগান মানেই সুব্রত ভট্টাচার্য।‘ সবুজ-মেরুনের ঘরের ছেলে বলেই পরিচিত সুব্রত। সুনীল আরও বলেন, ‘অনেকদিন বাংলা বলি না তাই কিছুটা ভুলে গিয়েছি। তবুও আজ বাংলাতেই কথা বলব। প্রথমেই বলব ওনার খেলা দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। কারণ যখন উনি খেলতেন, সেই সময় আমি জন্মাইনি। পরে আমি কিছু ভিডিও খুজেছি। তবে পাইনি। আমি যখন প্রথম দিল্লি থেকে আসি, তখন মোহনবাগান নিয়ে কিছুই জানতাম না। এই মানুষটাই আমাকে জানিয়েছেন।‘
কেরিয়ারের শুরুতে কী মন্ত্র দিয়েছিলেন তৎকালীন মোহনবাগান কোচ সুব্রত? সুনীল বলেন, ‘সবসময় আমাকে একটাই কথা বলেছেন নিজের সেরাটা দাও, ক্লাবের জন্য খেলো, জার্সির জন্য খেলো। এটাই ওঁর থেকে শিখেছিলাম আমি। সুব্রত ভট্টাচার্য যেভাবে মোহনবাগানকে ভালোবাসে, আর কেউ ভালোবাসে কি না জানি না। আজ সোনম আর সাহেব আসতে পারেনি। শেষকালে এটুকু বলতে হবে যে মোহনবাগান মানে সুব্রত ভট্টাচার্য, আর সুব্রত ভট্টাচার্য মানেই মোহনবাগান।‘
২০০২-০৩ মরশুমে মোহনবাগানের হয়ে খেলতে এসেছিলেন সুনীল। যদিও এই ক্লাবে সফল হতে পারেননি তিনি। তবে বর্তমানে তিনি যে দেশে সেরা ফুটবল অধিনায়ক, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই থাকতে পারে না। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সুনীলের প্রশংসা করেন সুব্রতও। তিনি বলেন, ‘সুনীল ছেত্রী আজ অধ্যাবসায়ের জন্যই সাফল্য এসেছে। ও অনেক বড় ফুটবলার। কারণ ও যথেষ্ট অনুশীলন করে। সাধনার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে।‘