সুপার কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়ে গেল মোহনবাগান। তবে জিততে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হল সবুজ-মেরুনকে। ৮৭ মিনিট অবধি ১ গোলে পিছিয়ে থাকা হায়দরাবাদ হারল ২-১ গোলে। ৮৩ মিনিটে হায়দরাবাদের ক্যাপ্টেন নিম দর্জি খারাপ ব্যবহার করায় লাল কার্ড দেখেন। এর পরেই সব শেষ।
খেলার শুরুতেই ব্রেন্ডন হ্যামিল আর গোলকিপার আর্শ আনোয়ারের ভুল বোঝাবুঝিতেই গোল পেয়ে যায় হায়দরাবাদ। গোল পেয়ে যান লালচুংনুঙ্গা ছাংতে। বলা ভাল সহজ বল দিয়ে দেন হ্যামিল ও আর্শ। ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন ছাংতে। প্রথমার্ধে গোল আর শোধ করতে পারেনি মোহনবাগান। উল্টে দেখা যায়, হায়দরাবাদ বারেবারে আক্রমণ করে যাচ্ছে। একবার যদিও গলের সুযোগ পেয়েছিলেন হুগো বুমোরা। ৪৩ মিনিটে ফের চুঙ্গা দারুণ শট করেন। কোনওমতে বাঁচান আর্শ। তবে ৪৮ মিনিটে সেরা সুযোগটা এসে গিয়েছিল সবুজ-মেরুনের। সেই সুযোগ হারান জেসন কামিন্স। আশিস রাইকে ফাউল করা হলে ফ্রি কিক পেয়ে যায় মোহনবাগান। পেত্রাতোসের ফ্রি কিক থেকে গোল করার সুযোগ হারান কামিন্স।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেকক্ষেত্রেই মোহনবাগানের আক্রমণ বাঁচিয়ে দিয়েছে লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমনির বিশ্বস্ত হাত। তবে সুযোগ যে বিদেশিহীন হায়দরাবাদও যে পায়নি তা কিন্তু নয়। সুযোগ পেয়েই বারেবারে সবুজ-মেরুন দুর্গে হানা দিয়েছে। মাকেন ছোটেরা এক ফোঁটাও জায়গা ছাড়েননি। সবকিছু উজাড় করে ডিফেন্স করে গিয়েছেন তাঁরা। তবে শেষদিকে খেই হারায় হায়দরাবাদ এফসি। ৮৭ মিনিটে ডিফেন্ডার জেরেমি বল হেড করেন নিজের গলের দিকে। কাট্টিমানি ঝাঁপিয়েও বাঁচাতে পারেননি।
ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। হুগো বুমোসকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় সবুজ-মেরুন। কাট্টিমনিকে উল্টোদিকে ফেলে গোল দিয়ে যান দিমিত্রি পেত্রাতোস। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ বা সময় কোনওটাই পায়নি তরুণ হায়দরাবাদ দল। তবে লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। আর তাই ম্যচের পরেই আবারও রেফারিকে নিয়ে প্রশ্ন করে তুললেন হায়দরাবাদ কোচ সিংটো।