রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভার। আর এর মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শেষ ওভারে মহম্মদ নাওয়াজের নো বলকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। ওভারের চতুর্থ বলে বিরাট কোহলির কোমরের উচ্চতায় বল করেন নাওয়াজ। সেই বল ডিপ স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। নো বলের দাবি জানান বিরাট। স্কোয়ার লেগে দাঁড়ান আম্পায়ার ইরাসমাস নো বল দিয়ে দেন।
এই ঘটনা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। বাবর আজমরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দুই আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি। পাক ক্রিকেটারদের দাবি ছিল, বলটা কোমর উচ্চতার ওপরে ছিল না। ম্যাচ হারার পর পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ওয়াসিম আক্রাম, ওয়াকার ইউনিসরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ৩ বিতর্ক, কী বলছে নিয়ম?
আক্রাম বলেন, 'বলটা ক্রমশ নীচু হয়ে যাচ্ছিল। খালি চোখে দেখে নো বল বলে মনে হয়নি। ব্যাটে লাগার আগেই বলটা নীচু হয়ে গিয়েছিল। যে কোনও ব্যাটারই নো বলের আবেদন জানাতে পারে। তবে এত বড় ম্যাচে প্রযুক্তি রয়েছে। সেটা ব্যবহার করা উচিত ছিল।''
ওয়াকার ইউনিস মনে করেন, আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় ম্যাচটা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানের প্রাক্তন বোলার ইউনিস বলেন, ''বল কোমর সমান উচ্চতায় থাকলে প্রথমেই স্কোয়ার লেগ আম্পায়ারের কাজ নো ডাকা। উনি অভিজ্ঞ আম্পায়ার। সরাসরি নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিতে পারতেন তিনি। তা না করে তিনি রিপ্লে দেখে কোহলির আবেদনের পর সাড়া দেন। নো বল ছিল কি না সেই ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না। আমার কথা হচ্ছে, আম্পায়ারের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত জানান উচিত ছিল।''
আরও পড়ুন: ভারতের কাছে হারের পর পাকিস্তানের ড্রেসিং রুমে কী হল? VIDEO VIRAL
তৃতীয় আম্পারকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার কেন দেওয়া হল না? এ নিয়ে আম্পায়ারের উপর ক্ষুব্ধ শোয়েব মালিকও। তিনি বলেন, “তৃতীয় আম্পায়ার তো হাতের সামনেই ছিলেন। সেটা আগে নেওয়া হল না কেন? এ ধরনের উত্তেজক ম্যাচে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করা উচিত হয়নি। যে কেউ ভুল করতে পারে। কিন্তু আগে তো তৃতীয় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলা দরকার।”