সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াই দারুণভাবে জমিয়ে দিল আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়ে ফেললএন রশিদ খানরা। এরফলে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেল। কারণ এই ম্যাচে রোহিত শর্মারা জিততে পারলে টি২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হবে অজিদের।
সেমিফাইনালের লড়াই জমে গেল
দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে ভারত। রোহিতদের নেট রানরেট ২.৪২৫। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দুই ম্যাচ খেলে একটিতে জিতেছে তারা। মিচেল মার্শদের পয়েন্ট ২। রানরেট ০.২২। তিন নম্বরে রয়েছে আফগানিস্তান। দুই ম্যাচ খেলে একটি জয় তাদের পকেটেও। তাদের রানরেট -০.৬৫। চার নম্বরে বাংলাদেশ। দু’টি ম্যাচ খেলেই দু’টিই হেরেছে তারা। শাকিব আল হাসানদের নেট রানরেট -২.৪৯। ভারতের আর একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। সেটি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ জিতলে গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে যাবেন রোহিতেরা। কিন্তু সেই ম্যাচ হারলে তিন ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট হবে ৪। আফগানিস্তানের একটি ম্যাচ বাকি। তারা যদি অস্ট্রেলিয়ার পর বাংলাদেশকেও হারায় তা হলে তাদের পয়েন্টও হবে ৪। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতকে হারানোয় অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্টও হবে ৪। বাংলাদেশ অবশ্য সে ক্ষেত্রে তিনটি ম্যাচ হেরে ০ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেবে। তবে ভারতের বিরুদ্ধে হেরে গেলে বিদায় নেবে অজিরা।
দারুণ বোলিং আফগানদের
এদিন দারুণ বোলিং করে ম্যাচ জিতে নেয় আফগানরা। কাজে এল না প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিকও। পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেও, অস্ট্রেলিয়ার সেমিফাইনালের স্বপ্ন বিরাট ধাক্কা খেল। প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান করে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হল ১৯.২ ওভারে ১২৭ রানে।
রান পেলেন না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা
ওপেনাররা তো বটেই, রান পাননি অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডাররাও। যতক্ষণ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল উইকেটে ছিলেন ততক্ষণ অজিদের আশা ছিল। ৪১ বলে ৫৯ রান করে তিনি আউট হতেই সব প্রতিরোধ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন মিশেল মার্শ (১২), মার্কস স্টোয়নিশ (১১) ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের রানেও পৌঁছতে পারেননি।
বল হাতে গুলবাদিন নায়িব, চার উইকেট ও নবীন উল হক তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং-এর কোমর ভেঙে দেন। রশিদ খান, ওমরজাই ও নবী একটি করে উইকেট তুলে নেন। মোট আট বোলারকে ব্যবহার করেন রশিদ।