১২.১ ওভারে করতে হত ১১৬ রান। তবেই রান রেটের বিচারে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে টপকে শেষ চারে চলে যেতে পারত বাংলাদেশ। তবে ১২.১ ওভারে বাংলাদেশ আটকে গেল ৮৩ রানে। যার ফলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হল শাকিব আল হাসানদের। তখনও সেমি ফাইনালে যাওয়ার আশা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলেই কাজটা হয়ে যেত। তবে তা হল না নবীন উল হকদের বোলিং-এর সৌজন্যে। দুর্দান্ত বোলিং করে একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশকে ছিটকে দিলেন। আট রানে জয় পেল আফগানিস্তান
দ্রুত রান তাড়া করতে নেমে ১১ ওভারে ৮০ রানেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চার উইকেট নেন রশিদ খান। তবে বাংলাদেশ বোলাররা কাজের কাজটা করে দিয়েছিলেন। বেশ কম রানে বেধে রেখেছিলেন রশিদ খানদের। মনে করা হয়েছিল, এই ম্যাচে এগিয়ে বাংলাদেশ। মূলত মহমদুল্লাহ রিয়াদ, শাকিবদের অভিজ্ঞতাই ভরসা জোগাচ্ছিল। তবে ব্যাট করতে নেমে দুইজনেই ব্যর্থ। শুধু লিটন দাস দারুণ লড়াই চালান। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। উল্টোদিক থেকে কোনও সাহায্যই পাননি তিনি।
সোমবার রাত পর্যন্ত কেউ ভাবতেই পারেনি টি২০ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে যেতে পারে বাংলাদেশ। তবে মঙ্গলবার সকালেই বদলে গেল গোটা চিত্র। দুরন্ত বল করে আফগানিস্তানকে মাত্র ১১৬ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। ফলে ফের শেষ চারে যাওয়ার আশা বেঁচে ছিল টাইগারদের। ফিল্ডিং করতে নেমে বেশ কয়েকটি দারুণ ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি পরিকল্পনামাফিক বোলিং অসম্ভবকে সম্ভব করার জায়গায় চলে এসেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষরক্ষা হল না।
ম্যাচ জিতে সেমি ফাইনালে চলে গেলেন রশিদ খানরা। ম্যাচ শেষে আনন্দে কেঁদে ফেলেন আফগান ক্রিকেটাররা। গোটা মাঠ চোট পাওয়া রহমানুল্লাহ গুরবাজকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন তাঁরা। বারবার বৃষ্টিতে ম্যাচ বিঘ্নিত হলেও, লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়েই সাফল্য পেয়ে যায় আফগানরা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেমি ফাইনালে নামবে আফগানিস্তান।