সম্প্রতি অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খারাপ পারফরমেন্সের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিরাট কোহলি নিজেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। এখন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) তার কাছ থেকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বও কেড়ে নিল। এটাকে আপনি কেড়ে নেওয়াই বলতে পারেন, কারণ কোহলি অধিনায়কত্ব ছাড়তে রাজি ছিলেন না। অন্যদিকে বিসিসিআইও অধিনায়কত্ব থেকে সরে যেতে কোহলিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল।
... কোহলিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল
পিটিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে কোহলি আগেই টি-টোয়েন্টি থেকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, বিসিসিআই তাকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকেও পদত্যাগ করতে ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিল। বিসিসিআই-এর নির্বাচক কমিটি এই সময় পর্যন্ত কোহলির প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। উত্তর না পেয়ে, তারা ৪৯ তম ঘন্টায় নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেন এবং টি-টোয়েন্টি-সহ ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব রোহিত শর্মার হাতে তুলে দেন।
কোহলি পরবর্তী বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করতে চেয়েছিলেন
২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতত হতে চলা ওডিআই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোহলির কোনও বক্তব্য আসেনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, কোহলি ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়ক থাকতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নির্বাচক কমিটি তাকে এই সুযোগ দিলনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে যখন টিম ইন্ডিয়া বাদ পড়েছিল তখনই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিটি।
বিসিসিআই সম্মানজনক বিদায় জানাতে চেয়েছিল
কোহলি প্রায় ৫ বছর ধরে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাকে সম্মানজনক বিদায় দিতে চেয়েছিল নির্বাচক কমিটি। তারা সেই সুযোগও দিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কমিটিকে তার কলম চালাতে হল এবং কোহলিকে বরখাস্ত করার মত সিদ্ধান্ত নিতে হল। কোহলি সর্বদা প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির উল্টোদিকে তার আক্রমণাত্মক মনোভাবের জন্য পরিচিত।