২০১৯ সালে কেরলের ওয়েনাড় এবং উত্তরপ্রদেশের অমেঠি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ৪ লক্ষের বেশি ভোটে ওয়েনাড়ে জিতেছিলেন রাহুল। হেরেছিলেন অমেঠিতে। এবার কি করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী? অমেঠিতে আবারও প্রার্থী হবেন নাকি শুধু কেরলে ওয়েনাড় থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, শুরু হয়েছে জল্পনা। সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে জল্পনা উস্কে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, রাহুল গান্ধী বহরমপুর থেকেও প্রার্থী হতে পারেন।
এ দিন অধীর বলেন,'রাহুল গান্ধী কারও অনুমতি নিয়ে দাঁড়াননি। ওয়েনাড়ে রাহুলকে টিকিট দিয়েছিল কংগ্রেস। সেখানে তিনি জিতেছিলেন। অমেঠিতে হেরেছিলেন। কংগ্রেস ঠিক করবে রাহুল গান্ধী কোথায় দাঁড়াবেন? অমেঠিতে দাঁড়াতে পারেন, ওয়েনাড়ে দাঁড়াতে পারেন, আবার বহরমপুরেও দাঁড়াতে পারেন! কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল। ভারতের যে কোনও জায়গা থেকে প্রার্থী হতে পারেন রাহুল গান্ধী।'
২০২৪ সালের ভোটের আগে বিরোধী দলগুলি মিলে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে। সেই জোটে কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে তৃণমূল এবং সিপিএমও। কেরলে গতবার রাহুল প্রার্থী হওয়ায় লাভবান হয়েছিল কংগ্রেস। কেরলের ২০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৯টিই জিতে নিয়েছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। সেই রাজ্যে বামেদের সঙ্গে লড়াই কংগ্রেসের। এ রাজ্যে যেমন কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল। সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোটের বাম শিবিরের নেতারা চাইছেন, রাহুল গান্ধী যেন ওয়েনাড়ে না দাঁড়ান। কারণ সেখানে সরাসরি সিপিএমের সঙ্গে তাঁর লড়াই। সেখানে বিজেপি নেই।
ইন্ডিয়া জোটের বাম নেতাদের কী যুক্তি? সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোটে সিপিএম, সিপিআই-ও রয়েছে। আর জোটের অন্যতম মুখ রাহুল গান্ধী। তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। সেখানে রাহুল এমন আসন চয়ন করা উচিত যেখানে সরাসরি বিজেপির সঙ্গে তাঁর লড়াই। কেরলের ওয়ানাড়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম। সেক্ষেত্রে জোটের পক্ষে তা শুভ বার্তা নয়। শোনা যাচ্ছে, বাম শিবিরের একাধিক নেতা চাইছেন ওয়েনাড় ছেড়ে দিন রাহুল গান্ধী। তার বদলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই হবে এমন আসন বেছে নিন। প্রশ্ন হল, অমেঠিতে গতবার হারার পর কি আবারও প্রার্থী হবেন রাহুল? কারণ তা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু, অমেঠিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে হারাতে পারলে বিরাট রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড পেয়ে যাবেন সনিয়া-তনয়।