২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে কি আদৌ AIMIM বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে? এখন এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। ইতিপূর্বে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ২৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে বাংলাতেও যদি তিনি প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন, তাহলে সেটা যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের উপরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, বিজেপির হাত ধরেই নাকি বাংলার মাটিতে ঘাঁটি গড়ছে AIMIM।
আজ ফিরহাদ হাকিম বললেন, "বাংলার মাটিতে বিজেপি বিভক্তিকরণের খেলা খেলছে। সেকারণেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক টেনে এই নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটব্যাঙ্ককে তারা কম করতে চাইছে। আমার তো মনে হয়, বাংলায় বিজেপি খুব একটা হালে পানি পায়নি। কারণ এখানে NDA-র আসন আগের থেকে অনেকটাই কমে গেছে। একটা ব্যাপার স্পষ্ট যে এবার বিজেপিকে বাংলা ছাড়তেই হবে। একদিন এই দেশটাও না ছাড়তে হয়।"
সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, "বাংলার জনগণ একেবারেই বোকা নয়। তারা বিজেপির এই কৌশল হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারছে। বিজেপিই বাংলার মাটিতে ওয়াইসিকে ডেকে আনছে যাতে ভোটব্যাঙ্কটাকে দুভাগে ভাগ করা যায়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার ভোটব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব পড়তে দেওয়া চলবে না।"
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, বিহারে ভালো ফলের পরে মঙ্গলবারই ওয়াইসি জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২১ সালে তিনি রাজ্যে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেবেন। 'আজ তক'-কে ওয়াইসি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটেও প্রার্থী দেব। ক্ষমতা থাকলে আমাদের রুখে দেখাক।' এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস, বামেরা। বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের ২৭ শতাংশ মুসলিম ভোটের সামান্য অংশও যদি ওয়াইসির AIMIM-এর দিকে যায়, মমতার জন্য অনেক আসনে সেটা সমস্যা হবে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো কোন নীতি অবলম্বন করেন, এখন সেইদিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।