তিন দিন আগে খড়্গপুরে সভা করে দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করেছিলেন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। দাবি করেছিলেন, দিলীপ ঘোষকে এলাকায় দেখা যায় না। তার জবাবে রবিবার দিলীপ বলেন,'তোমরা যখন ঘুম থেকে ওঠো ততক্ষণে আমাদের দু-পাঁচশো লোকের সঙ্গে কথা বলা হয়ে যায়।'
তৃণমূল নেতাদের নিশানা করে এ দিন দিলীপ বলেন,'খড়্গপুরে যে নেতারা এসে সভা করেছেন তাঁরা সকলেই দাগী নেতা। সবাইকে সিবিআই ডাকাডাকি করছে। তার মধ্যে খুব বড় যে নেতা এসেছিলেন তাঁর নাম সায়নী ঘোষ। তাঁর দলের লোকেরাই তাঁকে ঢুকতে দেয় না। তিনি নাকি দিলীপ ঘোষকে দেখতে পান না এলাকায়! দিলীপ ঘোষকে দেখতে হলে এখানে আয়। তোদের যেমন চেহারা মরা তেমন কাজকর্ম। আমাদেরকে তা-ও লোক দেখতে আসে। তোমরা যখন ঘুম থেকে ওঠো ততক্ষণে আমাদের দু-পাঁচশো লোকের সঙ্গে কথা বলা হয়ে যায়।'
মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের কাজের হিসেব দাবি করেছিলেন সায়নী। তাঁর কথায়,'বিজেপির রাজনীতি তোমরা বুঝতে পারবে না। এরা নিজেরা কোন কাজ করবে না করতেও দেবে না, মিথ্যা কথা এসে বলে যাবে। এরপরে এরকম এলে কাছে বেঁধে রাখবেন, যেতে দেবেন না। চোরেরা এসে আমাদের জায়গাকে অপবিত্র করে যাচ্ছে। ওই জায়গায় গঙ্গাজল ছেটানো উচিত।'
সংসদ-কাণ্ডের পিছনে বেকারত্ব রয়েছে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এনিয়ে দিলীপ বলেন,'রাহুল গান্ধী নিজে বেকার। কোনও কাজ নেই। চাকরিটাও (সাংসদ পদ) গিয়েছিল, কোনওভাবে কোর্ট আটকে রেখেছে। ওঁর আর সেই চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না, বিয়েও হবে না। এরকম বেকার দেশে প্রচুর আছে। এখন বেকারত্ব ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন দেশের এজেন্সি থেকে টাকা নিয়ে মোদীকে এবং দেশকে বদনাম করছেন। এরা সব কমিউনিস্ট ও আল্ট্রা কমিউনিস্ট। এরা আন্দোলনজীবী, সেই টুকরো টুকরো গ্যাং জায়গায় জায়গায় বসে দেশের বদনাম করছে। সব থেকে দুর্ভাগ্য এ ধরনের যত দেশবিরোধী কাজকর্ম তার যোগ সব সময় পশ্চিমবাংলার সঙ্গে থাকে। তাদের সমস্ত শিকড় এই রাজ্যে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁদের নাম পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না। তৃণমূল এই সমস্ত উগ্রবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে বলেই তাঁদের সঙ্গে ছবি পাওয়া যাচ্ছে।'