বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের দলবদলে চাপ দেওয়া হচ্ছে দাবি রাজ্যপালেরও
উত্তরবঙ্গ সহ গোটা রাজ্যে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের চাপ দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে অভিযোগ তুলে জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার তিনি দার্জিলিঙে রাজভবনে বিজেপি সাংসদ জন বারলা এবং কুমারগ্রাম বিধানসভার নজন পঞ্চায়েত এবং একজন জেলা পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাঁকে জনপ্রতিনিধিরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বলে জানান রাজ্যপাল।
মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে টুইট
এরপরই রাজ্যপাল টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি জানান। টুইটে মুখ্যমন্ত্রীর অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে ট্যাগ করেন। তাতে রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসন বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের শাসক দলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ বিষয়ে আপনি অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুন।
কটাক্ষ কুণাল ঘোষের
পরে এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পাল্টা টুইট করে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন। কুণালবাবুর দাবি, যারা রাজ্য ভাগ এর পক্ষে, বঙ্গভঙ্গ করে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলছেন, অশুভ শক্তির অভিভাবক টুইট ধনকরজি তাঁদের সঙ্গেই যোগাযোগেই থাকছেন। বাংলা থেকে বরখাস্তের পর যদি কাছাকাছি কোনও রাজ্যে পদ পাওয়া যায় সেই আশায়।
দার্জিলিংয়ে রাজ্যপালের কাছে জন বারলা ও জনপ্রতিনিধিরা
এদিন দার্জিলিঙে কুমারগ্রামের ঘরছাড়া বিজেপি নেতাদের দুর্দশার কথা জানাতে হাজির হয়েছিলেন জন বারলা ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত জেলা পরিষদ প্রতিনিধিরা। বুধবারই বিজেপির নিযুক্ত আলিপুরদুয়ার জেলার আহ্বায়ক ভূষণ মোদক অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল নেতারা, পুলিশ, সকলে মিলে বিজেপি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দল ত্যাগ করার জন্য চাপ দিচ্ছে।
গোটাটাই নাটক বলে দাবি তৃণমূলের
তার বিরোধিতা করে পুরোটাই নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী।
এমনকী তৃণমূলের ভয়ে জন বারলার লক্ষীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং তাদের পরিবারের লোকজন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এদিন রাজ্যপালের সামনে সমস্ত অভিযোগগুলি তুলে ধরেন তাঁরা। তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনাও করেন বলে খবর।