বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন সমাজ সংস্কারক। পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক-যুবতীদের আশার আলো তিনি। বুধবার এমনটাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, 'আমার রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে বরাবরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবে উল্লেখ করি। অনেক বাধা-বিপত্তি, ব্যক্তিগত আক্রমণের পরেও তিনি নিজের ক্ষমতার মধ্যে থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবক-যুবতীদের আশার আলো দেখানোর চেষ্টা করছেন।' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, 'প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে লড়ে যাচ্ছেন। উনি আমার ও সকলের কাছে প্রণম্য এবং শ্রদ্ধার জায়গা তৈরি করেছেন। রাজনৈতিক পরিচয় নয়, বাংলার একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এটা আমার মনে হয়।'
'৭০ টি পুরসভায় চাকরি চুরি হয়েছে'
কৃষ্ণনগর ও শান্তিপুর পুরসভার আধিকারিকদের CBI-এর তলব করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বিস্ফোরত দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, '৭০ টি পুরসভায় চাকরি চুরি হয়েছে। পুরসভার পুরপ্রধান এবং নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা উচিৎ। তিনি দাবি করেন, কামারহাটি থেকে শুরু করে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এই চক্র সবচেয়ে সক্রিয় ছিল।'
যদিও এদিন দিল্লির বৈঠক নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শুভেন্দু। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানালেন, 'আপনাদের বলার জন্য নয়। বৈঠকের ছবিও পাবেন না। তবে বৈঠকে যা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভালর জন্যই হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্যই সবাই মিলে আমরা চেষ্টা করছি।'
এদিন রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি 'ভয়ঙ্কর' বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। এর পাশাপাশি রাজ্যের নারী নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিভিন্ন রায়ের পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।