SSKM হাসপাতালে পঞ্চায়েত ভোটে আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। আহত তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কার কোথায় আঘাত লেগেছে, চিকিত্সা কেমন চলছে সেই বিষয়ে খোঁজ নেন। প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন তিনি। এরপর আহতদের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। প্রত্যেকের হাতে হরলিক্স ও মিষ্টির প্যাকেটও দেন তিনি।
হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে এগিয়ে আসেন অনেকে। কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেন। তাই দেখে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বেডে বসতে অনুরোধ করেন। স্নেহের সুরে জানতে চান, 'তোমার কোথায় লেগেছে?'
এরপর এক-এক করে প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। সেই সঙ্গে মিষ্টি-হরলিক্সের প্যাকেট তুলে দেন। আহত কর্মীদের মধ্যে একজনের চোখে আঘাত লেগেছে। তাই শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, 'আহা রে।' এরপর চিকিত্সকদের উদ্দেশে বলেন, 'চোখটা ভাল করে দেখে নেবে। চোখের ট্রিটমেন্টটা আলাদা করে।'
SSKM-এ আহতদের দেখে বের হওয়ার সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন আমাদেরই বেশি মারা গিয়েছে। নন্দীগ্রাম, খেজুরিতে ওরা যা অত্যাচার করেছে। বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। কাল ৪ জন ছেড়েছে। আজ ৯ জনকে দেখতে এলাম।'
তিনি আরও বলেন, 'যাঁরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারকে সরকার থেকে ২ লক্ষ টাকা ও চাকরি দেওয়া হবে। যাঁরা আহত তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা আগামী ৩-৪দিনের মধ্যে রেয়ে যাবেন।'
এদিন পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওঁদের কোনও কাজকর্ম নেই। খালি কুত্সা ও হিংসা ছড়ানো কাজ। বিজেপির কাজই মানুষে মানুষে বিভেজ তৈরি করা। ইন্ডিয়া উইল ফেস দ্য ব্যাটেল।'
বিজেপির একাধিক নেতা দাবি তুলেছেন যে, সরকার যে কোনও সময়ে উল্টে যেতে পারে। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সরকার কি বালতি নাকি! চাইলেই উল্টে দেবে? সরকার উল্টাবে? খেয়েদেয়ে কাজ নেই। তোমাদের সরকার উল্টে গিয়েছে। কাল থেকে তো ভয়ে থরথর করে কাঁপছ।'