বৃহস্পতিবার কার্শিয়ঙে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ। কনে কার্শিয়াংয়ের মেয়ে দীক্ষা ছেত্রী। কার্শিয়াঙে সরকারি কর্মসূচিতে গিয়ে পাহাড়ের সঙ্গে তাঁর নতুন সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে চা পাতার তোলার ফাঁকে বলেছিলেন, 'পাহাড়ের সঙ্গে আমাদের রক্তের বন্ধন হয়ে গেল। হৃদয়ের মেলবন্ধন তৈরি হল।' সে কথাই শোনা গেল শুক্রবার।
এ দিন মমতা বলেন,'গতকাল আমার পরিবারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছে পাহাড়ের মেয়ে। পাহাড়ের সঙ্গে রক্তের সম্পর্কও তৈরি হয়ে গেল। আমি পাহাড়কে দেব। আপনাদের আশীর্বাদ ও শুভকামনা চাই। জিটিএ-কে আরও ৭৫ কোটি টাকা দিচ্ছি। জিটিএ-র কর্মীদের অবসরের সুবিধা দেওয়ার প্রকল্পও করছি। রক্তের সম্পর্কের জন্য করে দিলাম।'
মমতা আরও বলেন,'দীক্ষার সঙ্গে আমার ঘরের ছেলের বিয়ে হল। আমি খুশি। দু'জনেই ডাক্তার। দু'জনের বিয়ে হয়েছে। ওঁর বাবা কার্শিয়াং পুরসভার কর্মী। সবাই অনেক কিছু বলে, তবে আমি পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের রক্তের সম্পর্ক তৈরি করে দিলাম। এটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।'
এর আগেও একাধিকবার পাহাড়ের প্রতি ভাললাগার কথা বলেছেন মমতা। এ দিন তিনি জানান,'আমি অনেকবার বলেছি, পাহাড়ে একটা ঘর চাই। দেখুন কীভাবে ভগবান একটা ঘর দিয়ে দিলেন। আপনাদের সকলের ঘরকে নিজের ঘর ভাবি। আপনারা ভাল থাকুন। যাঁরা উল্টোপাল্টা বলে, ভোটের আগে টাকা দেয়, ১৫ লাখ দেব, কখনও ওরা প্রতিশ্রুতি রাখে না। আমাদের প্রতিশ্রুতিই আমার রক্ত। জান কবুল আপনাদের জন্য।'
দীক্ষার মা নেই। মেয়ে বিদায়ের পর বাবা একা হয়ে পড়লেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,'দীক্ষার ঘরে যাব। কাল বিয়ে হয়েছিল। রীতি মেনে সকালে কলকাতায় চলে গিয়েছে নব বর-বধূ। বাবার সঙ্গে দেখা করব। মেয়ে চলে যওয়ার পর বাবাদের কষ্ট হয়। তার উপরে মা নেই। তাই তাঁর পাশে দাঁড়ানো দরকার।'
উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার সকালে কার্শিয়াংয়ের কমিউনিটি হলে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দীক্ষা ছেত্রী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমরা।