মাত্র কয়েকমাস আগেই ভারতে চালু হওয়া BGMI ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে Free Fire, CODM-এর মতো গেমগুলিও। কিন্তু গেমের নেশায় প্রচুর টাকা ঢালছে নাবালকরা। আর এর ফল হচ্ছে মারাত্মক।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমে ৪০ হাজার টাকা হারিয়েছে ওই নাবালক। বাড়িতে না জানিয়েই ওই টাকা গেমে দিয়েছিল।
কিন্তু গেমে হেরে যাওয়ায় সেই টাকা আর পায়নি। এর পরেই আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেয়। অনলাইনে Free Fire গেমটি খেলেছিল সে।
কিন্তু গেমে এতো টাকা কেন ঢালা হয়? এর দুটো কারণ রয়েছে। সাধারণত অনলাইন গেমগুলিতে নতুন ড্রেস, বন্দুকের আপডেট ও অন্যান্য সুবিধার জন্য রয়্যাল পাস বা ব্যাটল পাস আসে। সেগুলি কেনার জন্য মরিয়া হয়ে অনেকে টাকা খরচ করেন।
দ্বিতীয় কারণটি অনেকটা মারাত্মক। বেশ কিছু লিগ হয় অনলাইন গেমে। এগুলো অনেকটা অনলাইন জুয়ার মতো। মানে সেই লিগে খেলতে গেলে সবাইকেই টাকা দিতে হবে।
কোনও সময়ে সেই টাকা হাজার আবার লাখেও ছাড়িয়ে যায়। যে টিম জিতবে তারা টাকার বেশিরভাগ অংশটা পাবে। এগুলো সাধারণত প্রাইভেট রুম বানিয়েই খেলায় হয় সবকটি গেমে।
দিল্লির প্রবীণ আইনজীবী অজয় তেজপাল এই বিষয়ে জানান, জুয়া রোধের জন্য প্রতিটির রাজ্যের নিজস্ব আইন রয়েছে। অনলাইন জুয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ রাজ্য সেই বিষয়ে সঠিক নজরদারিই দেয় না।
এমন ধরনের লিগের ক্ষেত্রে গেম কর্তৃপক্ষও অন্ধকারে থাকে। যদিও কোনও গেম এমন জুয়া খেলায় উৎসাহিত কিংবা অনুপ্রাণিত করে না। কিন্তু কড়া নজরদারি এড়িয়েই এখন রমরমিয়ে চলছে গেমিংয়ের আড়ালে এমন জুয়া খেলা।