তামিলনাড়ুতে জন্ম। বড়ো হয়ে ওঠা চেন্নাইয়ে। এখন মার্কিনমুলুকের বাসিন্দা হলেও তাঁর শিকড় এই ভারতেই। গুগল (Google) সিইও সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai) আজ যে অবস্থানেই থাকুন না কেন, তার একটা বড়ো অংশ জড়িয়ে রয়েছে ভারতেই।
ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে গুগলের সদর দফতরে বসে বিবিসির অমল রাজনের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বললেন সুন্দর পিচাই। মার্ক জুকেরবার্গের সঙ্গে কথা হয় কিনা, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাক স্বাধীনতা, কোন গাড়ি চালাচ্ছেন সব কিছুর উত্তর দিলেন একেবারে খোলা মনে। গাড়ির প্রতি সেভাবে টান না থাকলেও বর্তমানে টেসলা গাড়ি চালাচ্ছেন সেটাও জানিয়েছেন পিচাই।
তবে সুন্দর পিচাই একটি সিক্রেট ফাঁস করেছেন। কাজের সূত্রে একসঙ্গে ২০টির বেশি ফোন তিনি ব্যবহার করেন। নতুন প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যেতে নিয়মিত মোবাইল বদলে চলেছেন বলে দাবি করেন পিচাই। তবে ফোন বদলালেও ঘনঘন পাসওয়ার্ড বদলানোর পক্ষপাতী তিনি নন।
পিচাই বলেছে, 'আমি পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সবসময়ে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশান মেনে চলি। সবারই সেটা করা উচিত্। তাছাড়া নতুন নতুন প্রযুক্তি যাচাই করে দেখতে বারবার স্মার্টফোন বদলাতে থাকি।' পাসওয়ার্ড বদলের পরিবর্তে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশনের ক্ষেত্রে সকলকে জোর দিতে বলেন পিচাই।
Google CEO Sundar Pichai তাঁর নিজের বিভিন্ন অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে কী করেন? নিজেই জানালেন সেই কথা। তাঁর কথায়, বারবার পাসওয়ার্ডে পরিবর্তন করার থেকে Two Factor Authentication ব্যবহার করলে জিমেইল থেকে শুরু করে ফেসবুক-সহ যে কোনও অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা যায়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে সুন্দর পিচাইয়ের বক্তব্য, 'আমি মনে করি এটাই মানুষের তৈরি করা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট মানুষের জীবনে যত প্রভাব ফেলেছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের গুরুত্বও ঠিক ততটাই। যদিও, এই প্রযুক্তিকে আমি আরও গভীর মনে করি।'
নিজের সন্তানদের কতক্ষণ ফোন ব্যবহার করতে দেন? উত্তরে গুগল কর্তার জবাব, 'সেটা তারা নিজেরাই ঠিক করে নেয়। কারণ, আমি মনে করি তারা কতক্ষণ ফোন ব্যবহার করবে, সেটা তাদের একান্তই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।' সাক্ষাৎকারে ফোন ব্যবহারের খারাপ দিক সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁকে। তাতে সুন্দর পিচাইয়ের উত্তর, 'চিরকালই মানুষ প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে ভয় পেয়ে এসেছে।'
গুগল সিইওকে তাঁর শেকড় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি আমেরিকার নাগরিক হলেও ভারত আমার মধ্যে গভীরভাবে রয়েছে। সুতরাং আমি এখন কে তার বড় অংশ ভারত।'