Advertisement

টেক

সূর্যের বায়ুমণ্ডলে Parker যান, এই প্রথম, আরও কাছে যেতে লাগবে ৪ বছর

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 15 Dec 2021,
  • Updated 12:15 AM IST
  • 1/10

মহাকাশ বিজ্ঞানের বিশ্বে এবং মানব ইতিহাসে প্রথমবার সূর্যের বায়ুমণ্ডলের কাছাকাছি পৌঁছেছে মানব তৈরি যান। নাসার পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের উপরের বায়ুমণ্ডল স্পর্শ করে ফেলেছে। সফলভাবে সেখানে পৌঁছেছে এই যানটি। সূর্যের ওপরের বায়ুমণ্ডলকে বলা হয় করোনা। এখান থেকে এটি সূর্যের কণা এবং চৌম্বকক্ষেত্র সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে। যদিও এখনও সূর্যের আরও কাছাকাছি পৌঁছতে সময় লাগবে।
 

  • 2/10

সবথেকে আনন্দের বিষয় হল, এই প্রথম কোনও যান সূর্যের এত কাছে পৌঁছতে পেরেছে। এ বছরের গোড়ার দিকে পার্কার যান করোনার ভেতরে গিয়ে চলে যায়। ট্রিপটি খুব ছোট ছিল। তখন সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে এর দূরত্ব ছিল ১.৩৩ মিলিয়ন কিলোমিটার।
 

  • 3/10

১৪ ডিসেম্বর, নাসা একটি সংবাদ সম্মেলনে জানায় যে তাদের যানটি সূর্যের করোনায় প্রবেশ করতে সফল হয়েছে। অর্থাৎ পার্কার সোলার প্রোব এখন করোনার ভিতরেই পৌঁছে গেছে। বর্তমানে সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭৯ লাখ কিলোমিটার। তবে পার্কার যানটিকে সবচেয়ে কাছে পৌঁছাতে আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হবে। 
 

  • 4/10

পার্কার সোলার প্রোব ২০২৫ সালে সূর্যের পৃষ্ঠের খুব কাছে আসবে। এ সময় সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে এর দূরত্ব হবে প্রায় ৬১ লাখ ১৫ হাজার কিলোমিটার। এর পরে এই যানটির কী হবে?  নাসা তা জানায়নি বা অন্য কোনও জ্যোতির্বিজ্ঞানীও ভবিষ্যদ্বাণী করেনি। কিন্তু এই যানটি সূর্যের বায়ুমণ্ডলে পৌঁছে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সূর্যের বায়ুমণ্ডলে পৌঁছে তিনটি বড় রহস্যের আবরণ দূর হবে।
 

  • 5/10

পার্কার সোলার প্রোব তিনটি প্রধান বিষয় পরীক্ষা করবে। প্রথম- করোনায় প্রবাহিত শক্তি ও তাপ এবং সৌর বায়ু প্রবাহের গতি ইত্যাদির হিসাব। দ্বিতীয় - সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্রের গঠন এবং গতিবিদ্যা অধ্যয়ন করা, এবং তৃতীয় - সূর্য থেকে নির্গত চার্জযুক্ত কণার উত্স, প্রবাহ এবং আচরণ অনুসন্ধান করা। এই তিনটি গবেষণা পৃথিবীকে সৌর ঝড় থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
 

  • 6/10

পার্কার সোলার প্রোবের পাঁচটি পেলোড রয়েছে। বিজ্ঞানীরা সূর্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। এই পেলোডগুলোকে সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা করতে সাড়ে চার ইঞ্চি পুরু কার্বন-কম্পোজিট উপাদানের একটি স্তর প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রোবটিতে পাঁচটি পেলোড রয়েছে - ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডস ইনভেস্টিগেশন (FIELDS) এটি চৌম্বকীয় তরঙ্গ, রেডিও তরঙ্গ, প্রবাহ, প্লাজমা ঘনত্ব এবং ইলেকট্রন তাপমাত্রা তা দেখবে।
 

  • 7/10

দ্বিতীয় পেলোড- ইন্টিগ্রেটেড সায়েন্স ইনভেস্টিগেশন অফ দ্য সান (ISOIS) এনার্জেটিক ইলেকট্রন, প্রোটন এবং ভারী আয়ন আছে তা খতিয়ে দেখবে। তৃতীয়- সোলার প্রোবের জন্য ওয়াইড ফিল্ড ইমেজার (ডব্লিউআইএসপিআর) এটি একটি অপটিক্যাল টেলিস্কোপ, যা সূর্যের করোনা এবং অভ্যন্তরীণ হেলিওস্ফিয়ারের ছবি তুলবে। চতুর্থ- সোলার উইন্ড ইলেকট্রন আলফাস এবং প্রোটন (SWEAP) এটি ইলেকট্রন, প্রোটন এবং হিলিয়াম আয়নের বেগ, ঘনত্ব এবং তাপমাত্রা অধ্যয়ন করবে। পঞ্চম- Heliosphere Origins with Solar Probe Plus (HeliOSPP) এটি বিজ্ঞানীদের সূর্য সম্পর্কিত তত্ত্ব এবং মডেল তৈরি করতে সাহায্য করবে। 
 

  • 8/10

পার্কার সোলার প্রোব গত ১২ আগস্ট ২০১৮-এ কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ডেল্টা-4 হেভি রকেটে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এই মিশনের মোট বয়সসীমা সাত বছর। যার মধ্যে ৩ বছর ৪ মাস ৩ দিন ইতিমধ্যে কেটে গিয়েছে। ৫০ কেজি পেলোড সহ যানটির মোট ওজন ৫৫৫ কেজি। এই যানটি ৩ মিটার উঁচু এবং ২.৩ মিটার চওড়া। এই যানটি ৮৮ দিনে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এর পরবর্তী রাউন্ড আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। ,
 

  • 9/10

নাসার পার্কার সোলার প্রোব, যা মহাকাশে পাঠানো হয়েছে সূর্যের রহস্য উদঘাটন করতে। এটি গত বছরের জুলাই মাসে শুক্র গ্রহের পাশ দিয়ে যায়। এসময় অনেক ধরনের স্বর রেকর্ড করে যানটি। এর আগে মহাকাশ বিজ্ঞানের ৩০ বছরের ইতিহাসে, কেউ শুক্রের উপরের বায়ুমণ্ডলের শব্দ শুনেনি বা অনুমান করেনি। এই প্রথম কোনো মহাকাশযান শুক্র গ্রহের শব্দ রেকর্ড করেছিল।
 

  • 10/10

পার্কার সোলার প্রোব শুক্রের পৃষ্ঠ থেকে ৮৩৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এই গাড়ির ডেটা বিশ্লেষণের কাজটি মেরিল্যান্ডের লরেলে অবস্থিত জনস হপকিন্স অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা করেছেন। নাসার গডার্ড ফ্লাইট সেন্টারের বিজ্ঞানী এবং ভেনাসের বিশেষজ্ঞ গ্লেন কলিনসন বলেন, পার্কার এবার যে ডেটা পাঠিয়েছেন তা বিস্ময়কর। আমরা প্রথমবার শুক্রের শব্দ শুনেছি। 
 

Advertisement
Advertisement