Liger Self Balancing E-Scooter: লাইগার মবিলিটি (Liger Mobility), একটি মুম্বাই-ভিত্তিক বৈদ্যুতিক স্টার্টআপ, ভারতের প্রথম সেলফ ব্যালেন্সিং ইলেকট্রিক স্কুটার চালু করেছে। এই স্কুটারটির বিশেষত্ব হল এটি নিজের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং আপনার পা মাটিতে ফেলার প্রয়োজন হয় না। পাশাপাশি ব্যালেন্স হারিয়ে পড়ে যাওয়ারও ভয় নেই।
অর্থাৎ, যারা টু-হুইলার চালানোর সময় ভারসাম্য হারানোর ভয় পান, তাদের জন্য এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি খুব স্পেশাল হতে চলেছে। কোম্পানি এই স্কুটারটি ২টি মডেল Liger X এবং Liger X+ এ প্রকাশ করেছে। বিশেষ বিষয় হল এটি শুধু ভারতের নয় বিশ্বের প্রথম সেলফ ব্যালেন্সিং ইলেকট্রিক স্কুটার। আসলে, এই স্কুটারগুলিতে অটো ব্যালেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা স্কুটারকে কম গতিতে ভারসাম্য হারিয়ে পড়তে দেয় না।
কোম্পানির দাবি, এই ই-স্কুটারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ AI ব্যবহার করা হয়েছে। স্কুটারটি কী অবস্থায় আছে এবং কীভাবে এটিকে ভারসাম্যপূর্ণ করা যায় সে সম্পর্কে সেন্সরের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যে কোনো টু-হুইলার কম গতিতে থাকলে তার ভারসাম্য চালককেই বজায় রাখতে হয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে Liger Mobility কোম্পানি শুধুমাত্র কম গতিতে এই ফিচারটি চালু করার সুবিধা দিয়েছে। এই ফিচারটি ঘণ্টায় ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার গতিতে কাজ করবে। আপনি যদি চান, আপনি নিজেই এই বৈশিষ্ট্য নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারেন।
এই স্কুটারগুলিতে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হয়েছে। যেখানে Liger X স্কুটারটি ৬৫ কিলোমিটারের সর্বোচ্চ গতি এবং এক চার্জে ৬০ কিলোমিটার পথ ছুটতে পারে। যেখানে Liger X+ এর রেঞ্জ এক চার্জে ১০০ কিলোমিটার। Liger X এর ব্যাটারি ৩ ঘন্টারও কম সময়ে সম্পূর্ণ চার্জ করা যাবে বলে দাবি করেছে কোম্পানি।
FAME-II সাবসিডি দেওয়ার পর Liger X ইলেকট্রিক স্কুটারের দাম ৯০,০০০ টাকা (এক্স-শোরুম)। প্রসঙ্গত, FAME বা ফাস্টার অ্যাডপশন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অফ ইলেকট্রিক ভেহিকল সাবসিডি, ভারতে ইলেকট্রিক ভেহিকল ও ফুয়েল ভেহিকলগুলির মধ্যে দামের ফারাকটা কমানোর জন্য কেন্দ্র সরকারের একটি বিশেষ নীতি। এর আগে এই ফারাকটা ছিল ২০%, এখন তাই রিভাইজ় করে ৪০% করা হয়েছে।