Advertisement

আইনি প্যাঁচে WhatsApp আর Instagram বেচে দিতে পারে Facebook!

মেটা ডিজিটাল দুনিয়ায় একচেটিয়া ব্যবসা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পুরোটাই দখল করে নিয়েছে তারা। ছোট কোম্পানিগুলির দাঁড়ানোর সুযোগই নেই, অভিযোগ করেছে মার্কিন FTC।

বিপাকে মেটা। বিপাকে মেটা।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 14 Jan 2022,
  • अपडेटेड 11:09 AM IST
  • বিপাকে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা মেটা (Meta)।
  • একচেটিয়া ব্যবসার অভিযোগ এফটিসি-র।
  • এর আগেও নানা কারণে একাধিকবার মার্কিন সংসদে ডাক পড়েছিল মার্ক জুকারবার্গের। 

সদ্যই ফেসবুক নাম বদলে মেটা রেখেছেন মার্ক জুকারবার্গ। ফেসবুক ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামও এই সংস্থার মালিকাধীন। কিন্তু এবার কি হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম ছাড়তে হবে ফেসবুককে?      

আসলে বিপাকে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা মেটা (Meta)। মার্কিন মুলুকের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (FTC) অভিযোগ, মেটা ডিজিটাল দুনিয়ায় একচেটিয়া ব্যবসা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পুরোটাই দখল করে নিয়েছে তারা। ছোট কোম্পানিগুলির দাঁড়ানোর সুযোগই নেই। এমনকি অন্য সংস্থা এগিয়ে এলে ফেসবুক বাধা হয়ে দাঁড়ায় বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মার্ক জুকরবার্গের সংস্থার বিরুদ্ধে। ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ মেটার ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মত এফটিসি-র। এনিয়ে মেটাকে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে তারা। এর আগেও নানা কারণে একাধিকবার মার্কিন সংসদে ডাক পড়েছিল মার্ক জুকারবার্গের। 

গ্রাহক সুরক্ষায় কাজ করে মার্কিন সরকারের স্বাধীন সংস্থা এফটিসি। অ্যান্টিট্রাস্ট মামলায় বিচারক জানিয়েছে, অ্যান্টিট্রাস্ট লঙ্ঘন করায় ফেসবুকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে পারে তারা। এফটিসি-র দাবি, অবিলম্বে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামে মালিরকানা ছেড়ে দিক মেটা। বলে রাখি গতবছর অ্যান্টিট্রাস্ট মামলায় ফেসবুককে চ্যালেঞ্জ করেছিল এফটিসি। কিন্তু তখন ফেসবুকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ ছিল না। এবার এফটিসি তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিপত্য কায়েম করেছে মেটা। 

আরও পড়ুন

মার্কিন বিচারক জর্জ জেমস বোসবার্গের পর্যবেক্ষণ, নেট মাধ্য়মে একচেটিয়া করবার করছে মেটা। তারা তথ্য দিতেও সক্ষম হয়েছে। কমস্কোরের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের পর থেকে প্রতিদিন ৭০ শতাংশ ব্যবহারকারী মেটার বিভিন্ন ধরণের অ্যাপ ব্যবহার করেন। মামলা খারিজ করার আবেদন করেছিল মেটা। তবে তাতে সাড়া দেননি বিচারক।

আদালতে ইতিবাচক সাড়া পেলেও মেটাকে টক্কর দেওয়া সহজ নয় বলে মনে করছেন অনেকেই। ২০১২ সালে ১ বিলিয়ন ডলারে ইনস্টাগ্রাম কিনেছিল ফেসবুক। তখন অনুমোদন দেয়নি এফটিসি। পরে হোয়াটসঅ্যাপ কেনার সময়েও এফটিসি-র অনুমতি মেলেনি। এফটিসি-র দাবি, প্রতিযোগিতা শেষ করতেই এই অ্যাপগুলি অধিগ্রহণ করেছিল ফেসবুক। 

Advertisement

ফেসবুক কী বলল? 

আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ফেসবুক। কারণ এফটিসি-র কয়েকটি তথ্যকেও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। যেমন এফটিসি অভিযোগ করেছিল, নেট প্রতিযোগিতায় সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে না ফেসবুক। সংস্থা জানায়, ২০১৮ সালেই তাদের নীতিতে বদল আনা হয়েছে। ফেসবুক মুখপাত্রের দাবি, ''এফটিসি-র দাবি অত্যন্ত দুর্বল। আমরা বিনিয়োগ করেছি বলেই ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে এই জায়গায় গিয়েছে। এটা প্রতিযোগিতার জন্য তো বটেই সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও সুবিধাজনক।''   

Read more!
Advertisement
Advertisement