Safer Internet Day 2022: ইন্টারনেট (Internet) ছাড়া আমাদের জীবন অচল বলা যেতে পারে। একেবারে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে এটি। তবে এর মধ্যেও অনেক বিপদ লুকিয়ে আছে। ইন্টারনেট (Internet) ব্যবহারের সময় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আজ ৮ ফেব্রুয়ারী, বিশ্বজুড়ে এই দিনটি পালিত হয় সেফার ইন্টারনেট ডে (Safer Internet Day 2022)। মানুষকে আরও সচেতন করতে এই দিনটি মানে সেফার ইন্টারনেট ডে (Safer Internet Day 2022) পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রবীণ-মহিলারা বেশি সাইবার অপরাধের শিকার, বলছে NCRB-র তথ্য
রোজ আমরা যে ইন্টারনেট (Internet) ব্যবহার করে চলেছি, আদৌ কি জানি সেটি কতটা সুরক্ষিত? কিংবা সেফ ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে আপনাকে কী কী মেনে চলতে হবে? এ ব্য়াপারে বিস্তারিত জানালেন আইইএমল্য়াবসের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার ঋত্ত্বিক লাল। সেফার ইন্টারনেট ডে (Safer Internet Day 2022)-তে জেনে নিই, ইন্টারনেট (Internet) ব্যবহারের সময় কোন কোন জিনিসগুলো মাথায় রাখলে, সমস্যা এড়ানো যেতে পারে।
আমরা ইন্টারনেটের যে অংশটুকু ব্যবহার করি, তা সমগ্র ইন্টারনেটের মাত্র ৫ শতাংশ। বাকিটা জুড়ে রয়েছে ডার্ক ওয়েব এবং ডিপ ওয়েবের জাল। এগুলো সাধারণত আমরা ব্যবহার করতে পারি না। বিশেষ রকমের সফটওয়্যার, কনফিগারেশন, অথেন্টিসিটির প্রয়োজন।
ইন্টচারনেটের যেটুকু আমরা ব্যবহার করি সেই, ৫ শতাংশের মধ্যেও রয়েছে বেশ কিছু ফ্রডুলেন্ট এবং অসুরক্ষিত সাইট। যেখানে আপনি ভুলবশত ঢুকে পড়লে হতে পারেন প্রতারিত। কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনার ইন্টারনেট একেবারে সুরক্ষিত থাকতে পারে, সে বিষয়ে বিশদে জানাচ্ছেন তিনি।
১. ডিভাইসের প্রাইভেসি সেটিংস অন রাখুন
যে কোনও অসাধু সাইট আপনার ডিভাইসের সমস্ত তথ্য জানতে চায় তাদের মার্কেটিং পলিসির জন্য বা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট রান করানোর জন্য। সেক্ষেত্রে আপনাকে তৎপর হতে হবে, ডিভাইসের সমস্ত প্রাইভেসি সেটিংস অন করে রাখতে হবে। যাতে যে কোনও সোর্স আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপের গোপন তথ্য অ্য়াক্সেস না করতে পারে। সাধারণত সমস্ত ডিভাইসেই এ রকম সেটিংস থাকে।
২. সেফ ব্রাউজিং
জেনেশুনে যেমন আপনি বিপজ্জনক রাস্তায় পা বাড়াবেন না, তেমনই না জেনেশুনে কখনই সন্দেহজনক বা অজানা সাইটে সার্ফিং করবেন না। সাইবার ক্রিমিনালরা জানে যে মানুষ মাঝে মাঝে কিছু লোভনীয় সাইট বা বিজ্ঞাপন দেখে আকর্ষিত হয়ে ঝোঁকবশত সেই সাইটে ঢুকে পড়েন। আপনিও যদি এমন ফাঁদে পড়েন, তবে সেই সাইট আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবে। এবং আপনার ডিভাইসে ভাইরাস ঢুকে যেতে পারে।
৩. স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট যেখানে আপনার প্রয়োজনীয় অ্য়াকাউন্ট রয়েছে, সেখানে স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যাতে কেউ তা ক্র্যাক না করতে পারে। প্রয়োজন হলে ভিন্ন ভিন্ন রকমের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এতে সুরক্ষার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পায়।
৪. সুরক্ষিত ওয়াই-ফাই বা ভিপিএন নেটওয়ার্ক
আপনার ডিভাইস যদি কোনও ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) বা ভিপিএন (VPN)-এর সঙ্গে কানেক্টেড থাকে, তবে দেখে নিন সেই নেটওয়ার্কটি অথেন্টিক কি না। কারণ, বেশ কিছু লোকাল বা প্রাইভেট নেটওয়ার্ক একটা নির্দিষ্ট এন্ডপয়েন্টের বাইরে গিয়ে আউটসাইড নেটওয়ার্কে মেশে এবং তখন আপনার ইন্টারনেটের সকল তথ্য সহজেই বিনিময় হতে পারে কিংবা আপনার ডিভাইসে "ওয়ার্ম"ও ঢুকতে পারে।
৫. কী ডাউনলোড করছেন দেখে নিচ্ছেন তো?
ক্রোম ব্রাউজার থেকে যা ডাউনলোড করছেন, দেখে নিন তা ম্যালওয়্যারযুক্ত নয় তো! যদি তা হয়, তবে আপনার ডিভাইসে ডাউনলোড হয়ে যাওয়া সেই ম্যালওয়্যার ফাইল থেকে খুব সহজেই ছড়াতে পারে। ভাইরাস বা আপনার গোপন তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে নিমেষে।
৬. ডিভাইসের অ্যান্টিভাইরাস আপডেটেড রাখুন
আপনার ডিভাইসের অ্যান্টিভাইরাস (Antivirus) ফাংশন সবসময় অ্যাক্টিভ এবং আপডেটেড রাখুন। এই অ্যান্টিভাইরাস বহুলাংশে আপনার ইন্টারনেট সিকিওরিটিকে এনহ্যান্স করে, ম্যালওয়ার ডিটেক্ট এবং রিমুভ করতে পারে। এছাড়াও আপনার ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম যে যে অ্যাপ্লিকেশন আপডেট করতে সাজেশন দেবে, সেগুলো নিয়মিত আপডেটেড রাখুন। অপারেটিং সিস্টেম খুব ভাল রকমের সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
মনে রাখবেন, সুরক্ষিত ইন্টারনেট মানেই সুরক্ষিত তথ্য। আর তার মানেই গোপনীয়তা সুরক্ষিত থাকবে। তাই সতর্ক থাকুন এবং সুরক্ষিত থাকুন।