স্মার্টফোনের স্ক্রিনের সুরক্ষায় স্ক্রিন প্রোটেক্টর ব্যবহার করেন সকলে। বেশিরভাগ মানুষই টেম্পার্ড গ্লাস (Tempered Glass)ফোনে লাগানোর আগে আগুপিছু ভাবেন না। দোকানে যা পাওয়া যায় সেটাই দরদাম করে নিয়ে নেন। ভাবেন এতেই বোধহয় ফোন সুরক্ষিত হয়ে গেল। কিন্তু এমনটা নয়!
বাজারে যে টেম্পার্ড গ্লাস পাওয়া যায় সেগুলি মাটি পড়লেই ভেঙে যায়। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফোনের স্ক্রিন। তাই স্ক্রিন গার্ড কেনার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনাকে।
দু'ধরনের স্ক্রিনগার্ড পাওয়া যায়- একটি গ্লাস বা কাঁচের আর একটি প্লাস্টিকের।
প্লাস্টিক গ্লাস
স্ক্রিনগার্ড লাগিয়ে স্মার্টফোনের স্ক্রিনকে সুরক্ষিত রাখা হয়। প্লাস্টিক গার্ড বেশ মজবুত। আর চলেও অনেক দিন। টেম্পার্ড গ্লাসের চেয়ে প্লাস্টিক গার্ড ফোনের স্ক্রিনকে বেশি সুরক্ষা প্রদান করে। চলেও অনেক দিন। যদিও কয়েকটি খামতিও রয়েছে। প্লাস্টিকে তাড়াতাড়ি আঁচড় বা ক্র্যাচ পড়ে যায়। তাড়াতাড়ি অস্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফিঙ্গার প্রিন্টের আঁচড় থেকে যায় স্ক্রিনে।
Tempered Glass কি ব্যবহার করা উচিত?
প্লাস্টিক গ্লাসের চেয়ে দামি টেম্পার্ড গ্লাস। প্লাস্টিক গ্লাসের সমস্ত সুবিধাই মেলে। তবে বাজারে উপলব্ধ ৫০, ১০০ টাকার টেম্পার্ড গ্লাস ফোনকে সুরক্ষা দিতে পারে না। বরং তা লোকসানই করে। হালকা আঘাতেই তা ভেঙে যায়। ভাঙা স্ক্রিনগার্ডেই অনেকে ফোন ব্যবহার করেন। কাঁচ ফেটে বেরিয়ে আসে। তাতে আঙুল কেটে যেতে পারে। সেজন্য দামী টেম্পার্ড গ্লাসের ব্যবহার করুন। তাই ভাল গুণগতমানের টেম্পার্ড গ্লাস কিনতে গেলে অন্তত ১০০০ টাকা খরচ করতে হবে। কমদামী গ্লাসের মতো তা সহজে ভেঙে যায় না।
আরও পড়ুন- দারুণ ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেরাতে পারবেন ডিলিট মেসেজ