জায়ান্ট মাইক্রো ব্লগিংসাইট ট্যুইটার সম্প্রতি ডিজাইনে নতুন পরিবর্তন এনেছে। নতুন ফন্ট চালু করা, লেআউটেও সামান্য পরিবর্তন এনেছে। তবে এই পরিবর্তনেই মাথা খারাপ ব্যবহারকারীদের। কারও কারও অভিযোগ নতুন পরিবর্তনে মাথাব্যথা, চোখের অস্বস্তি এবং দৃষ্টি ঝাপসা হওয়ার মতো অবস্থা হচ্ছে। এই সপ্তাহেই নতুন ডিজাইনে ডিসপ্লে পরিবর্তন হয়েছে, ফন্ট পরিবর্তন করেছে এবং আরও ভিজ্যুয়াল কনট্রাস্ট তৈরি করেছে। কিন্তু ২০১৯-এ যে পরিবর্তন এনেছিল এর সঙ্গে কোনও তুলনা হয় না। সেসময় ট্যুইটার আরও আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে।
ফলোয়িং বাটনে পরিবর্তন, ব্যাকগ্রাউন্ডের রং পরিবর্তন এবং ফন্টের পরিবর্তন পছন্দ হচ্ছে না অনেকেরই। গত কয়েকদিন ধরে অনেক ব্যবহারকারীরই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ। কোম্পানির কাছে এই নিয়ে অভিযোগও করেছেন অনেকে। ফন্টের ব্যাপারে ট্যুইটারে দুটি মতামত বেরিয়ে এসেছে। কেউ নতুন পরিবর্তনটিকে ভালো বলছে, আবার কারও অভিযোগ চোখের সমস্যা সৃষ্টি করছে।
বিশেষত যাদের মেডিকেল কন্ডিশন আছে তাদের এই ফন্টের কারণে মাথাব্যথা হচ্ছে। অবশ্য ট্যুইটারের তরফেই নতুন পরিবর্তন আনার পর জানানো হয় ব্যবহারকারীদের নতুন ফন্টের কারণে মাথাব্যথা, মাইগ্রেন বা চোখের চাপ সৃষ্টি করছে কিনা। নতুন বাটন এসেছে, বাটনের বিপরীতে পরিবর্তন হয়েছে। অভিযোগগুলি শুনে কোম্পানি জানিয়েছে, সমস্যার জায়গাগুলি বুঝে খুব শীঘ্রই এতে পরিবর্তন আনা হবে।
বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরাই নতুন নকশা পরিবর্তনে খুশি নন। এবার সংস্থা এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয় তাই দেখার। এমন অপশনও আসতে পারে যে এই ডিজাইন পরিবর্তন পছন্দ করেছে তারা এটিই ব্যবহার করবে। জাফর পছন্দ হয়নি তারা পুরনো ডিজাইনেই বহাল থাকবে। তবে পরবর্তীতে, যদি অধিকাংশ মানুষ এই নতুন নকশা গ্রহণ করে তবে কোম্পানি ডিজাইনটি সরিয়ে দিতে পারে।
ট্যুইটার এর আগেও বহুবার নতুন নতুন ফিচার, ইমোজি পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু কোনও পরিবর্তনই বিশেষ সফলতার জায়গা পায়নি। ট্যুইটারে হাততালি, হার্ট এধরনের ইমোজি আনারও পরিকল্পনা করছিল। তবে ব্যবহারকারীদের পছন্দ হলে তবেই তা গ্রহণ করে ট্যুইটার। বরাবর ব্যবহারকারীদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে এই মাইক্রোব্লগিং সাইট।